Home লাইফস্টাইল মাত্র তিনটি অভ্যাস যা আপনাকে রাখবে সুস্থ ও প্রাণোজ্জ্বল

মাত্র তিনটি অভ্যাস যা আপনাকে রাখবে সুস্থ ও প্রাণোজ্জ্বল

আমাদের মধ্যে অনেকেই রাতদিনের কাজের ব্যস্ততায় নিজের খেয়াল রাখারই  সুযোগ পান না। এমনকি  এক-দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটিও কেটে যায় সারা সপ্তাহের জমে থাকা বাড়ির কাজ কিংবা একটু আরাম করেই। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য গড়ে তুলুন মাত্র ৩টি অভ্যাস যার ফলে বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই আপনি থাকতে পারবেন সুস্থ ও প্রাণোচ্ছল।

১. দেহকে রাখুন সচল

আপনার প্রতিটি  দিন শুরু হয় দীর্ঘ কাজের তালিকা নিয়ে। ব্যায়াম তো দূরের কথা, অফিসের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোই মুশকিল।

এ ক্ষেত্রে করণীয়:

# আপনার দৈনন্দিন কাজের দীর্ঘ তালিকার মধ্যে ব্যায়ামকেও ঢুকিয়ে নিন এবং অন্য কাজের মত সমান গুরুত্ব দিয়ে অল্প সময়ের জন্য হলেও এটা করার অভ্যাস করুন।

# একা একা ব্যায়াম করতে ভাল নাও লাগতে পারে,এক্ষেত্রে  সঙ্গী করে নিন কোনো বন্ধু কিংবা সহকর্মীকে। আপনি থাকবেন অনুপ্রাণিত এবং সাথে সাথে সঙ্গীও থাকবেন ফিট।

# কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করুন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, লাঞ্চ সেরে একটু না হয় হেঁটে নিন।

২. খাবার হোক ভূমধ্যসাগরীয়

মেডিটেরানিয়ান বা ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যতালিকায় সাধারণত শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, হোল গ্রেইন শস্য, মাছ এবং অলিভ অয়েল থাকে। ভূমধ্যসাগরীয় এই ডায়েট অনুসরণ করলে আপনার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি কমবে। আপনি কেবল শারীরিকভাবেই যে  সুস্থ থাকবেন তা নয় বরং মান্সিকতাও থাকবে প্রফুল্ল। গবেষণায় দেখা গেছে ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যতালিকা অনুসরণকারীদের মধ্যে হতাশা ও দুশ্চিন্তার লক্ষণও কম দেখা গেছে।

এক্ষেত্রে ভোজন রসিকরা ভয় পাবেন না একদমই! রাতারাতি বদলে ফেলতে হবে না আপনার খাদ্যাভ্যাস। প্রথমত শুরু করতে পারেন ধাপে ধাপে। যেমন প্রথমে তেলটা বদলে ফেলুন। তারপর প্রতিদিনের খাবারে সবজি ও ফলমূলের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দিন। মাংসের বদলে মাঝে মাঝে মাছের স্বাদও নিন। পরিশোধিত চাল ও আটার বদলে খাওয়া শুরু করুন লাল চাল ও লাল আটা। আর এভাবেই ধীরে ধীরে আপনি এগিয়ে যাবেন সুস্বাস্থ্যের দিকে।

৩. মাঝে মাঝে নিজের কথা ভাবুন ও নিজেকে সময় দিন

কাজের চাপ তো থাকবেই, তবে মানুষ হিসেবে মাঝে মাঝে এই চাপ নেয়ার ক্ষমতা আপনার নাও থাকতে পারে, এক্ষেত্রে ‘না’ বলতে শিখুন। কেননা মাঝে মাঝে নিজের ভালোর জন্য ‘না’ বলা দোষের কিছু নয়। কয়েক মিনিটের জন্য হলেও প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। আর এই সময়টুকুতে  নিজের পছন্দের কোনো কাজ করুন।