Home ইসলাম ও জীবন রমজানের শেষ ১০ দিন নাজাতের

রমজানের শেষ ১০ দিন নাজাতের

রমজান মাস হলো মুসলমানদের সৌভাগ্যের মাস। এতে রয়েছে তাদের রহমত, বরকত এবং সর্বোপরি জাহান্নাম থেকে বাচার গ্যারান্টি। রমজান মাস পুরোটাই ফজিলতে ভরপুর, তবে ইহার শেষ দশকের ফজিলতটা অনেক বেশি। কারণ তাতে রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম ফজিলতপূর্ণ একটি রজনী এবং আছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও বিশেষ আমল। আজ রাত থেকেই নাজাতের দশকের শুরু।

বিভিন্ন ইবাদতের কারণে রমজানের শেষ দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দশকেই রয়েছে ইতিকাফ এবং লাইলাতুল কদর। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় রমজানের এই শেষ দশকটি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ, ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সেই সফল। এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (আল ইমরান-১৮৫)

রমজানের শেষ ১০ দিন এ লাইলাতুল কদর রয়েছে। লাইলাতুল কদরে আমাদের করণীয় হল বেশি করে দোয়া করা, জিকির আযকার করা, নামাজ পড়া, ইবাদত-বন্দেগী করা। হযরত আয়েশা রা. নবী করীম সা. কে জিজ্ঞেস করলেন, লাইলাতুল কদরে আমি কি দোয়া করতে পারি? তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, তুমি বলবে: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [তিরমিযী]

হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজানের শেষ দশক আসলে রাসূলুল্লাহ সা. পরনের লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের সকলকে জাগিয়ে দিতেন। [বুখারী ও মুসলিম]

এ দশ দিনের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, রাসূল সা. এ দশ দিনে মসজিদে এতেকাফ করতেন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি মসজিদ থেকে বের হতেন না।

তওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে মাহে রমজানের অশেষ রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভ করতে পারি! হে আল্লাহ! রমজান মাসের শেষ দশকে তওবার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করুন এবং পাপকাজ করার পরপরই যাতে আপনার কাছে তওবা করতে পারি, সেই তাওফিক দান করুন!