Home লাইফস্টাইল অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার অপকারিতা

অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার অপকারিতা

অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার অপকারিতা

বাঙালি যেন আজকাল মাছের চেয়ে মাংসই খায় বেশি। স্যান্ডউইচ, শর্মা আর নানা ধরনের কাবাবের সমাহার, সেই সঙ্গে মাটন আর বিফ তেহারি খাওয়া তো আছেই। আবার ছুটির দিনগুলোতে বাড়িতে একটু গরুর মাংসের ভুনা না হলে যেন চলেই না। তবে এবার ভাবুন তো, অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার প্রবণতা আপনার স্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে না তো?

অতিরিক্ত চর্বি

গরু কিংবা খাসি—সব ধরনের মাংসেই কম বেশি চর্বি থাকে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তাছাড়া প্রয়োজন চর্বিও। কিন্ত যখন আপনি অতিরিক্ত মাংস খাচ্ছেন তখন মাংসের সঙ্গে আপনার শরীরে ঢুকছে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অন্যদিকে আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণে ঢুকছে কম, যা কি না পাওয়া যায় মূলত ফলমূল, শাকসবজি এবং ডাল জাতীয় খাবারে। ফলে আপনার শরীর হারিয়ে ফেলছে পুষ্টির ব্যালেন্স।

প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহে প্রবেশের কারণে কেবল যে মোটা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় তা নয়, বেড়ে যায় ডায়বেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা

মাংস অনেকেরই প্রিয় খাবার তবে অতিরিক্ত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া বেশি মাংস খেলে বেড়ে যায় অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি। অস্ট্রেলিয়ার বাওয়েল ক্যান্সার সংগঠনের মতে, সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি মাংস না খেলে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়

করণীয়

মাংস খাওয়া যেতে পারে চর্বি বাদ দিয়ে। তবে তা অবশ্যই অতিরিক্ত নয়। কেননা অতিরিক্ত কিছুই শরীরের জন্য ভাল নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে ৫ দিনের বেশি মাংস খাওয়া উচিৎ নয়। মাংস খাওয়ার সময় সংযমী হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খান। এক্ষেত্রে দিনে ৬৫ গ্রামের বেশি মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সব সময় মাংস না খেয়ে মাংসের বদলে নজর দিন ফলমূল, মাছ, শাকসবজির দিকে। নতুন কোনো রেসিপিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।

প্রতি বছর কমপক্ষে এক সপ্তাহ মাংস ছাড়া থাকার চেষ্টা করুন।প্রতি সপ্তাহে দুদিন মাংসের বদলে খেয়ে নিন অন্য কিছু। এই দুদিন নাহয় পছন্দের রেস্তোরাঁগুলো থেকে একটু দূরেই থাকুন!