Home ভ্রমন ঘুরে আসুন পাহাড়ে ঘেরা সীতাকুন্ড

ঘুরে আসুন পাহাড়ে ঘেরা সীতাকুন্ড

ঘুরে আসুন পাহাড়ে ঘেরা সীতাকুন্ড
সীতাকুন্ড বাংলাদেশের চট্রগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এলাকাটি পাহাড়ি এবং পাহাড়চূড়াগুলি অজস্র হিন্দু ও বোদ্ধ ধর্মস্থান মন্দির ইত্যাদিতে পূর্ণ। এই উপজেলার প্রধান শহর সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি আয়তনের দিক থেকে চট্টগ্রামের ২৬ টি উপজেলার ভিতর তৃতীয় এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ষষ্ঠ।
সীতাকুন্ড পাহাড় হিমালয় হতে বিচ্ছিন্ন পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। এই পাহাড়টি হিমালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক ঘুরে ভারতের আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্য দিয়ে ফেনী নদী পার হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে মিশেছে।চট্টগ্রাম অংশে ফেনী নদী থেকে চট্রগ্রাম শহর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এই পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত হয়েছে সীতাকুন্ড ইকো পার্ক।
সীতাকুন্ড শহরের পূর্বে অবস্থিত চন্দ্রনাথ পাহাড় যা ১১৫২ ফুট উঁচু, রাজবাড়ি টিলার উচ্চতা ৮৮৯ ফুট এবং সাজিঢালার উচ্চতা ৮০১ ফুট। চট্টগ্রাম শহরের কাছাকাছি এসে এই পাহাড়ের উচ্চতা অনেক কমে এসেছে।চট্টগ্রাম শহরের উপকন্ঠে বাটালি হিলের উচ্চতা ২৮০ ফুট এবং শহর থেকে সামান্য উত্তরে নঙ্গরখানা ২৯৮ ফুট উঁচু।
এখানে রয়েছে সহস্রধারা আর সুপ্ত ধারা নামের দুটি জলপ্রপাত।মীরসরাই অংশে রয়েছে খৈয়াছড়া, হরিণমারা, হাটুভাঙ্গা, নাপিত্তাছড়া, বাঘবিয়ানী, বোয়ালিয়া, অমরমানিক্যসহ আরো অনেক অনেক ঝর্ণা ও জলপ্রপাত। পূর্বদিকে এই পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে কয়েকটি ঝর্ণা তথা খাল হালদা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এর মাঝে গজারিয়া, বারমাসিয়া,ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি এবং বোয়ালিয়া অন্যতম। পশ্চিম দিকে মহামায়া ছড়া,মিঠাছড়া সহ আরো কয়েকটি ছড়া ও ঝর্ণা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।বর্তমানে মহামায়া ছড়ার উপর একটি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে। এই লেক দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক,তাছাড়া নীলাম্বর হ্রদ নামে একটি মনোরম লেক এই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।
ঢাকা থেকে খুব সহজেই চট্রগ্রাম আর তারপর সীতাকুন্ড। সীতাকুন্ডের আশেপাশেই রয়েছে  আরো আনেকগুলো দর্শনীয় স্থান।