সেল ফোন এবং ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসের খুবই জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো আন্ড্রয়েড। স্যামসাং, এইচটিসি, শাওমি, ব্ল্যাকবেরি এবং সনি ফোন সহ অনেক নামি-দামী ব্র্যান্ডের ফোন আন্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে চলে। আপনি যদি আন্ড্রয়েড চালিত মোবাইল ফোন কিনতে চান, তবে আপনি ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন।
আন্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনে অনেক বড় বড় অ্যাপস চালালে তা তাড়াতাড়ি ব্যাটারি শেষ করে ফেলতে পারে। তারপরও, আপনার ফোনে ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি করার অনেক উপায় রয়েছে। চলুন তবে জেনে নেই কার্যকরীভাবে আন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে।
১) যে যে অ্যাপ আপনার ব্যাটারি খায় তা বের খুঁজে বের করুন
প্রথমেই Settings > Battery-তে যাবেন। তাহলে দেখতে পাবেন কোন কোন অ্যাপ কতখানি ব্যাটারি খেয়ে থাকে। আপনি সব অ্যাপের একটা তালিকা দেখতে পাবেন যার ডান পাশে শতাংশ হারে প্রত্যেকটা অ্যাপের ব্যাটারি ব্যবহারের হার দেখাবে। আপনি যেসব অ্যাপ ব্যবহার করেন না সেগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন। আর চেষ্টা করুন চার্জ কম থাকা অবস্থায় যেসব অ্যাপ বেশি ব্যাটারি খেয়ে থাকে সেগুলো না চালাতে। তাহলে আপনার ব্যাটারি থেকে বেশ দীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত আপনি চার্জ ধরে রাখতে পারবেন।
২) নোটিফিকেশন সেটিং
ফোনের বিভিন্ন অ্যাপের নোটিফিকেশন কারণে ফোনের ব্যাটারির চার্জ খরচ হয়। তাই আপনি যদি ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি পেতে চান, তাহলে ফোনের এসব অ্যাপের নোটিফিকেশন সেটিংসে গিয়ে যত কম সম্ভব নোটিফিকেশন পাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
৩) লোকেশান সার্ভিস বন্ধ করুন
কিছু অ্যাপ আছে যেগুলো চালুর জন্য সবসময়ই লোকেশান দরকার হয়। এমনকি যখন সেগুলো ব্যবহার করছেন না, তখনও সেগুলো চালু থাকে। যে কারণে আপনার ব্যাটারি-লাইফও কমে যায়। তাই লক্ষ রাখুন প্রয়োজন ছাড়া লোকেশান সার্ভিস যাতে বন্ধ থাকে।
৪) অটো ব্রাইটনেস ফিচার
স্ক্রিনের অটো ব্রাইটনেস ফিচার বন্ধ রাখুন। এটি চালু থাকলে ফোনের সেন্সর সব সময় কাজ করে, আর আপনার চারপাশের আলো অনুযায়ী স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমায় ও বাড়ায়। এতে অতিরিক্ত ব্যাটারি শক্তি খরচ হয়।
৫) অটোলকের সময় নির্ধারণ
স্ক্রিন চালু থাকলে ফোন ব্যাটারি খাবেই। আইফোনের ক্ষেত্রেও বাক্যটি সত্য। তাই লক্ষ রাখুন যাতে খুব কম সময়ের জন্য আপনার ফোনের স্ক্রিনটি চালু থাকে। এজন্য অটোলকের সময়সীমা কমিয়ে আনতে পারেন। যাতে করে স্ক্রিন চালু থাকার সময়টা কমে আসে। এভাবে আপনি বেশ সুদীর্ঘ ব্যাটারি-লাইফ উপভোগ করতে পারেন।
৬) অ্যাপস আপডেটেড রাখুন
আপডেটেড অ্যাপস কম ব্যাটারি খরচ করে। আপডেটগুলোর মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা অ্যাপসটিকে ভালভাবে চলতে সাহায্য করে, এবং কম রিসোর্স ব্যবহার করে, যার ফলে কম ব্যাটারি খরচ হয়।
৭) ভাইব্রেশন সার্ভিস বন্ধ করুন
ফোনের ভাইব্রেশন ফিচারটির জন্য মোবাইলের মধ্যে একটি ছোট মোটর দেয়া থাকে। এটি নিঃসন্দেহে ভালই চার্জ খরচ করে। তাই টাচ ও অন্যান্য ইফেক্টের ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন।
এছাড়াও ফোনের লাইভ ওয়ালপেপার সাধারণ ওয়ালপেপারের তুলনায় বেশি চার্জ খরচ করে। সুতরাং, ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি চাইলে লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার করা বন্ধ করুন।