Home লাইফস্টাইল শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় বাড়তি সতর্কতা

শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় বাড়তি সতর্কতা

শীতের আগমন ঘটেছে। শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকের আদ্রতা এমনিতেই উধাও হয়ে যায়। তার ওপর আবার বাতাসে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়ে যায় অনেক বেশি। শীতের আবহাওয়াতে ঘোরাঘুরির কারণে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এমন সময় ত্বকের অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে কিংবা ভুল উপায়ে যত্ন করলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা তো দেখা দেয়ই সাথে আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং নানান জীবাণু এই সুযোগে মারাত্মক প্রভাব ফেলে ফেয়।

শীতের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঘরের দরজা-জানালা বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। এর ফলে জীবাণু ঘরের বাইরে যেতে পারে না। আর এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে এসব জীবাণু ভাইরাস খুব সহজেই আমাদের আক্রমণ করে বসে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

জেনে নেয়া যাক শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় কিছু সতর্কতা ও প্রস্তুতি

  • শীতে প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। যদিও এসব রোগের প্রধান কারণ ভাইরাস, তবু তাপমাত্রার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। শীতে বাতাসের তাপমাত্রা কমার সঙ্গে আর্দ্রতাও কমে যায়, যা শ্বাসনালির স্বাভাবিক কর্ম প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে ভাইরাসের আক্রমণ সহজ করে। শুষ্ক আবহাওয়া বাতাসে ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালিকে সরু করে দেয়, ফলে হাঁপানির টান বাড়ে। এ সময় সবচেয়ে উপকারী হলো প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কান ঢাকা টুপি পরা, গলায় মাফলা এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। ধূলা-বালি এড়িয়ে চলা। কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা।
  • ঠাণ্ডা লাগলে গলা খুসখুস করে, নাক বন্ধ হয়ে থাকে, ঘুম নষ্ট হয়। এর সাথে জ্বর না হলে ঘরে বসে নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে পারেন। এ সময় সবচেয়ে উপকারী হলো হালকা গরম পানি পান করা আর বিশ্রাম নেয়া। নাক বন্ধ হয়ে এলে বড় পাত্রে ফুটন্ত পানি ঢেলে, তাতে মেন্থল দিয়ে তারপর মুখ নিচু করে এবং অবশ্যই খোলা রেখে সেই পানির ভাপ নিতে হবে কয়েক মিনিট।
  • সর্দি, কাশি বা সামান্য গলাব্যথা এমন কোনো বড় সমস্যা নয়। তবে একবার ঠাণ্ডা লাগলে, তা সারতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবেই। কাশির জন্য সকালে ১ চামচ আদার রসের তুলনা নেই, তবে সামান্য মধু বা চিনি মিশিয়ে নেবেন।
  • শীতে শিশুদের মধ্যকর্ণে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। সাধারণত ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই রোগে কানে বেশ ব্যথা হয়, কান বন্ধ মনে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে রোগটি কানপাকা রোগে রূপ নিতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ও নাকের ড্রপসহ অন্যান্য ওষুধ হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা।
  • ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকতে নিয়মিত লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাচ্চাদেরও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এর জন্য আলাদাভাবে নতুন কিছুর প্রয়োজন নেই।