Home লাইফস্টাইল ক্লান্তি এবং এর থেকে মুক্তির উপায়

ক্লান্তি এবং এর থেকে মুক্তির উপায়

ক্লান্তি এবং এর থেকে মুক্তির উপায়

শুধু যে কম ঘুমের কারণেই আপনি ক্লান্ত হন তা কিন্ত নয় । এমন কিছু কারণ রয়েছে, যা আপনার অজান্তেই আপনাকে করে তুলতে পারে ক্লান্ত,শ্রান্ত। যদি আপনার জীবন হয় বাচ্চাদের হইচই, অফিস এবং সাংসারিক কাজে ভরপুর, তবে সকালবেলা অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমুতে যাওয়াটা আপনার জন্য কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।

তবে  আপনি যদি  যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমানোর পরও ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার জীবনে কিছুটা পরিবর্তন আনার এখনই সময়।

খাদ্যাভাস
বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবারগুলো খুব সহজে  বাড়িয়ে দেবে আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা, কিন্ত এগুলো একেবারেই  পুষ্টিকর নয়। চকলেট বা কফির মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবারগুলোই  হতে পারে আপনার ক্লান্তির কারণ ।

অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক ডা. টিম রসের মতে, হরেক রকমের পুষ্টিকর খাবারের সমন্বয়ে তৈরি ব্যালেন্সড ডায়েট হতে পারে এই সমস্যার সমাধান। খাবার থেকে পাওয়া পুষ্টি আপনাকে সারাদিন কর্মতৎপর থাকতে সাহায্য করে।

মাদক ও নেশাগ্রস্থতা
আপনার অ্যালকোহল এবং মাদক সেবনের অভ্যাস হতে পারে আপনার ক্লান্তির কারণ।কোকেইন, ইয়াবার মতো মাদক নিয়মিত সেবনে  স্নায়ুর গতি বেড়ে যায় এবং নিদ্রাহীনতা সৃটি হয়।

শরীরচর্চা
নিয়মিত ব্যায়াম না করার ফলে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে। তবে এক্ষেত্রে ব্যায়ামের পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ডা. রস বলেন, “ব্যায়াম করতে গিয়ে নিজের শরীরকে অতিরিক্ত চাপ দিলে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, নানা ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে।”
ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যায়াম করলে শরীরের পেশিগুলো চাঙ্গা হয়ে ওঠে ফলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়। তাই ব্যায়ামের সঠিক সময় এবং পরিমাণ দুটি বিষয়ই খেয়াল রাখা উচিৎ।

মানসিক স্বাস্থ্য
অনেক সময় দুশ্চিন্তা, মৃত্যুশোক এবং হতাশা শরীরের শক্তিগুলোকে শুষে নেয়।
রস বলেন, “অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অনেক সময় ঘুম কেড়ে নেয়, আবার কেউ কেউ দুশ্চিন্তায় বেশি ঘুমান।”

হতাশার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল ক্লান্তি। যদি আপনি দীর্ঘদিন ক্রমাগত ক্লান্ত লাগার অন্য কোনো কারণ খুঁজে না পান,আর  যদি এই ক্লান্তি দুই সপ্তাহের বেশি থাকে, তাহলে দেরি না করে এখনই  সাহায্য নিন চিকিৎসকের ।

অনিয়মিত ঘুমের সময়
আপনি যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমালেও ঘুমের সমইয়ের কারণে শরীরে ক্লান্তি ভর করতে পারে।
চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমুতে যাওয়ার এবং একই সময়ে বিছানা ছেড়ে উঠার , আপনার দেহঘড়িও একসময়  সেই অনুযায়ী মানিয়ে নেবে।

ঘুমানোর আগে অনুসরণ করতে পারেন এই টিপসগুলো:

# ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক একটি স্থায়ী জায়গা করে নিন ।

# ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে থেকে শারীরিক কিংবা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এমন কাজগুলো কখনই করবেন না।

# বিছানায় যাওয়ার আগেই চারপাশের শব্দ এবং আলোর পরিমাণ কমিয়ে দিন।