Home লাইফস্টাইল বিবাহবার্ষিকী হোক ভিন্নরকম

বিবাহবার্ষিকী হোক ভিন্নরকম

বিবাহ প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট। বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তার জীবনসঙ্গিনীকে সারাজীবনের জন্য কাছে পায়। ব্যক্তিগত জীবনের আশা-ভালোবাসা, সুখ-দুঃখের স্থায়ী পরিণতি হলো বিবাহ। তাই বিবাহবার্ষিকী প্রত্যেকটা বিবাহিত দম্পতির জন্যই একটা বিশেষ দিন। আর সবাই তাই দিনটিকে উদযাপন করতে চান একটু ভিন্নভাবেই। কেউ কেক কেটে, মোমবাতি প্রজ্বলন করে পালন করেন আবার কেউ বা সারাদিন ঘুরে, রেস্টুরেন্টে খেয়ে দেয়ে দিন কাটিয়ে দেন। কিন্তু এমন একটা বিশেষ দিনকে কি এমন হেলায়-ফেলায় সাধারণভাবে কাটালে চলে? এর জন্য দরকার পূর্ব প্রস্তুতি… ফলে দিনটি হয়ে উঠবে আপনার কাছে আরও রোমান্টিক ও স্মরণীয়। তাই আপনাদের জন্য আজ থাকছে বিবাহবার্ষিকীর এই ভিন্নরকম পালন নিয়ে কিছু স্পেশাল টিপসঃ

প্রথম ডেটের স্মৃতিচারণ করুনঃ জীবনে প্রথমবার যেখানে দুজনে একান্তে বসে সময় কাটিয়েছিলেন বিবাহবার্ষিকীর জন্য সে জায়গাটিই বেছে নিন। তারপর ঘুরতে যান দুজনে মিলে। এতে পুরোনো স্মৃতি জেগে উঠবে এবং রোমান্টিক মুহূর্তের সৃষ্টি হবে।

সঙ্গীকে নিয়ে পার্কে যানঃ এই দিনটিতে সঙ্গীকে নিয়ে পার্কে যেতে পারেন, বিভিন্ন রাইডে চড়তে পারেন। এতে যেমন একদিকে শৈশবের স্মৃতিচারণ হবে, অন্যদিকে সঙ্গীর সাথে মজার সময় উপভোগ করতে পারবেন।

ঘুরে বেড়ানঃ সঙ্গীকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন বা দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমায় যেতে পারেন। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে নৌকাবিলাস আপনাদের ভাসিয়ে দিবে রোমাঞ্চের সাগরে।

পোষ্য উপহার দিতে পারেনঃ সঙ্গীকে এ দিনে কোনো পোষা প্রাণী উপহার দিন। হতে পারে তা খরগোশ বা বিড়াল। তারপর এটার সাথে একান্তে কিছু সময় কাটান।

ক্যান্ডল ডিনার করতে পারেনঃ সঙ্গীকে নিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডল ডিনারে বসতে পারেন। মোমবাতির আলোয় যখন চারপাশ মায়াবতী রূপ ধারণ করবে তখন এক রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি হবে। আর এতে অবগাহন করে দুইজনই হয়ে উঠবেন আরও প্রেমময়।

রোমান্টিক রাত্রিযাপনঃ দিনটিকে আরও বিশেষায়িত ও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে রাত্রিযাপনের জন্য বুকিং নিতে পারেন কোনো বিশেষ রিসোর্ট। আর সেটা যদি হয় কোনো সমুদ্র সৈকতের পাড় বা পাহাড়ের পাদদেশে তাহলেতো কোনো কথাই নেই। তাছাড়া সঙ্গীর পছন্দ অনুযায়ী রাখতে পারেন বিশেষ ধরনের কনডম যা আপনার রাত্রিযাপনকে করে তুলবে আরও রোমান্টিক ও মাহাত্ম্যপূর্ণ।

সর্বোপরি, দিনটি একান্তই দম্পতির নিজেদের। তাই একে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দিনটিকে কিভাবে আরও সৌন্দর্যময় ও উপভোগ্য করে তুলবেন তার রুটিন আগে থেকেই ঠিক করে রাখবেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও এই একটি দিনই পারে সারাবছরের রাগ-অভিমান, ঝগড়া-বিবেধ ভুলিয়ে আপনাকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দিতে। তাই আর অবহেলা না করে দিনটিকে নিজেদের করে নিন…