Home লাইফস্টাইল নুনের যত গুণ…

নুনের যত গুণ…

লবণ বা নুনকে বলা হয় স্বাদের পরিদায়ক। নুনের যত গুণ… লবণ ছাড়া রান্না করা একরকম অসম্ভব ব্যাপার। তরকারি এবং বেশ কিছু খাবারে লবণ না হলে তো খাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়ে। মিষ্টি খাবার আমরা শখের বশে মাঝে মাঝে খেলেও সবসময় তা ভালো লাগে না। আর ঝাল খাবার তো নুন ছাড়া খাওয়াই যায় না। কিন্তু তাই বলে এটি যে শুধু খাওয়ার জন্যই জনপ্রিয় তা কিন্তু না। এর রয়েছে আরও বহু ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবহার যা দূর করতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা টুকিটাকি সমস্যা। চলুন জেনে নেয়া যাক নুনের যত গুণ সম্পর্কেঃ

ডিম সিদ্ধ করার পানিতে ১ চা চামচ লবণ দিন। দেখবেন ডিম অতি সহজেই সিদ্ধ হয়ে গেছে।

কাপড়ে ফাঙ্গাস বা কাঠের উপর ছত্রাক জাতীয় সবুজাভ পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে লবণ খুবই কার্যকরী। লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিন। এরপর রোদে শুকিয়ে নিলেই দেখবেন সমস্যা থেকে মুক্তি।

ঘরে ফ্রিজ নেই? বাজার থেকে আনা দুধ নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন? তাহলে একটাই সমাধান আছে। দুধে হালকা করে নুন ছিটিয়ে দিন। দেখবেন দুধ অনেক সময় পর্যন্ত ভালো থাকবে।

সবুজ শাকসবজি সিদ্ধ করার সময় পানিতে এক চিমটি লবণ দিন। এর ফলে রং নষ্ট হবে না শাকসবজির।

ফুলদানি পরিষ্কার করতে গিয়ে অনেককেই বিভিন্ন জক্কি পোহাতে হয়। সাবান পানি সহজে এর ময়লা কাটিয়ে উঠতে পারে না। তাই প্রথমে ফুলদানির ভেতরে লবণ পানি দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। এরপর সাবান জল দিয়ে ফলাফলটা নিজের চোখেই দেখে নিন।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের কাজে আমরা হাত ব্যবহার করি। পেঁয়াজ-রসুন বা মাছ-মাংস হাতে ধরলে অনেক সময় গন্ধটা হাতে রয়েই যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে ভিনেগারের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে ধুয়ে নিন হাত। দেখবেন দুর্গন্ধ উধাও।

ঘরে পিঁপড়ার আনাগোনা বেশি হলে সেখানে নুন ছিটিয়ে দিন। দেখবেন পিঁপড়া চলে গেছে।

কাপে চা বা কফির দাগ লেগে থাকলে ১ চা চামচ লবণ ও ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে দিন। কয়েক ঘণ্টা রেখে তারপর কাপ পরিষ্কার করুন। নিমিষেই দূর হবে দাগ।

লবণ ব্যবহার করলে জিন্সের রং ফ্যাকাসে হবে না। জিন্স ধোয়ার সময় পানিতে এক কাপ লবণ মিশিয়ে নিন। এছাড়া কার্পেট পরিষ্কার করার জন্য রাতে লবণ ছিটিয়ে দিন। পরদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। দেখবেন রঙ আগের মতোই দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠছে।

বাসন ধোয়ার জন্য ভিম বা ডিশ ওয়াসার নেই? চিন্তার কোনো কারণই নেই। লবণ, বেকিং সোডা এবং সাধারণ ডিশ সোপ মিশিয়ে নিন। তারপর থালা বাসন পরিষ্কার করে নিজের সুনামটি নিজেই কুড়িয়ে নিন।

অনেক সময় কাপড় লণ্ড্রী করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পুড়ে গেলে তা ইস্ত্রি নোংরা করে ফেলে। এ সমস্যা থেকেও রক্ষা করবে লবণ। ইস্ত্রি করার শুরুতে একটি কাগজে লবণ নিয়ে তাতে ইস্ত্রি ঘষিয়ে নিন। দেখবেন সমস্যা সলভ!

কাটিং বোর্ড যেখানে সবজি কাটা হয় তা যদি কাঠের হয় তাহলে সাধারণ ডিশওয়াশার দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। লবণ, লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ঘষে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস সমস্যার সমাধান হাতের মুঠোয়।