Home লাইফস্টাইল বর্ষাকালে খাবার ভালো রাখতে করণীয়

বর্ষাকালে খাবার ভালো রাখতে করণীয়

সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন, নাস্তা করতে গিয়ে দেখলেন গতরাতে কেনা পাউরুটিতে জন্মেছে ছত্রাক। অথচ কেনার সময় তারিখও দেখে নিয়েছিলেন। তাহলে হলটা কী? আসলে বিষয় হল ভেজা আবহাওয়ায় ছত্রাক দ্বিগুন হারে বিস্তার লাভ করতে পারে। এ কারণে বর্ষাকালে খাবার নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি। আর এই মৌসুমে দেহের হজম কার্যক্রমও থাকে দুর্বল। একই সঙ্গে গরম আবার ভেজা আবহাওয়ার কারণে মানবদেহে হজম ক্ষমতা দুর্বল ও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে এই সময় বিশেষ নজর রাখা দরকার। তাছাড়া বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ছত্রাক এবং অন্যান্য ভাইরাসের পরিমাণও বেশি থাকে। আর এগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে খাবার খোলা রাখলে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আজ আমরা জানবো বর্ষাকালে খাবার ভালো রাখতে করণীয় সম্পর্কে-

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ‘মাইক্রোঅর্গানিজমস’ বা অণুজীবের সংক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। আর আর্দ্র আবহাওয়ায় এই সংক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তাই দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারও একইভাবে বাতাসের সংস্পর্শের বাইরে রাখতে হবে।

কাটা সবজি: সবজি বা ফল কাটার পরপরই খেয়ে ফেলতে হবে। কারণ কাটা অবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। একইভাবে ফলের রস করা হলেও তা তখনই পান করা উচিত।

রান্না করা খাবার সংরক্ষণ: খাবার গরম অবস্থায় খাওয়া উচিত। যদি রান্না ও খাওয়ার মাঝে কিছুটা বিরতি থাকে তাহলে খাবার ঠাণ্ডা করে ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে রেফ্রিজারেইটরে তুলে রাখা উচিত।

রেফ্রিজারেইটরে খাবার রাখার সময় খেয়াল রাখতে হবে, রান্না করা খাবার যেন উপরের তাকে রাখা হয় এবং কাঁচাখাবার রাখুন নিচে।

ভাজা পোড়া: এই ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। তেলে ভাজা খাবার থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া বেশি মসলাদার খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে।

বেকারির খাবার: রুটি, বিস্কুট ইত্যাদিতে ছত্রাকের সংক্রমণ হয় খুব দ্রুত। তাই এই ধরনের খাবারগুলো বাতাসের সংস্পর্শে রাখা উচিত নয়। বরং দ্রুত খেয়ে শেষ করা উচিত। আর সংরক্ষণ করতে চাইলে বায়ুরোধী প্যাকেট বা পাত্রে রাখা উচিত।

রাস্তার খাবার: বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পাশের ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ খোলা এই দোকানগুলোতে ব্যাক্টেরিয়া বা অন্যান্য ক্ষতিকর ভাইরাসের মাত্রা বেশি থাকে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। ফলে কলেরা, টাইফয়েড অন্যান্য পানি বাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পচন এড়াতে: ভেজা মৌসুমে অল্প পরিমাণে বাজার করুন। দুএক দিন পর পর নতুন করে সবজি বা ফল কিনে আনুন।