Home লাইফস্টাইল ঘরে বসেই করে ফেলুন ফেসিয়াল

ঘরে বসেই করে ফেলুন ফেসিয়াল

ত্বকের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল ফেসিয়াল। ত্বকের ভেতর ধুলাবালি জমে বিশেষ করে রোমকূপের গোড়ায় যেসব ময়লা আটকে থাকে, সেসব ময়লা সহজে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। ময়লা আর অতিরিক্ত তেল একত্রিত হয়ে হোয়াইট হেড, ব্ল্যাকহেডসহ ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া একটি বয়সের পর ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পড়ে বাড়তি পুষ্টি। আর এসব কিছুর সহজ সমাধান পাওয়া যায় ফেসিয়ালের মাধ্যমে। ফেসিয়ালে ব্যবহৃত মাস্ক বা ফেসপ্যাকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ থাকায় ফেসিয়াল করার পর মুখমণ্ডলের মরা চামড়া একেবারেই থাকে না। মাস্ক ও ফেসপ্যাকের প্রভাব স্বল্পস্থায়ী হলেও ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে দীর্ঘস্থায়ী ফল পাওয়া যায়। সপ্তাহে একবার ফেসিয়াল করতে পারলে ত্বকের জন্য উত্তম। তবে সম্ভব না হলে কমপক্ষে মাসে একবার ফেসিয়াল করতে হবে। অনেকের কাছে পারলারে গিয়ে ফেসিয়াল করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর তাই তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া ফেসিয়ালের কিছু টিপস। এখন ঘরে বসেই করে ফেলুন ফেসিয়াল-

ঘরোয়া ফেসিয়ালের নিয়ম-কানুন

ধাপ-১:

ফেসিয়াল করার আগে একটু বড় গলার জামা ব্যবহার করুন। মাথার চুল আঁচড়ে পেছন দিকে ভালো করে বেঁধে ফেলুন, যাতে মুখ বা কপালের ওপর এসে না পড়ে। সাবান দিয়ে ভালো করে দুহাত ধুয়ে নিন। অল্প পরিমাণে লোশন নিয়ে মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লিনজিং করার পরই ফ্রেশনিং করবেন। তুলা পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি বের করে নিন। এবার ভেজা তুলায় ৫-৬ ফোঁটা ফ্রেশনার ঢেলে নিন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে তুলা বুলিয়ে নিন। ত্বক স্বাভাবিক বা মিশ্র হলে ফ্রেশনিং করার সময় টোনার ফ্রেশনার বা স্কিন টনিক ব্যবহার করবেন। এবার ময়েশ্চারাইজিং লোশন ভালো করে সারা ত্বকে মেখে নিন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।

ধাপ-২:

এবার ফ্রেসপ্যাক লাগানোর পালা। এ ক্ষেত্রে ত্বক বুঝে ফেসপ্যাক নির্বাচন করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে মুলতানি মাটির মাস্ক, চন্দনের মাস্ক, মধু ও গাজরের ফেসপ্যাক, অলিভঅয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক, বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক, ময়দা ও মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক, আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক উৎকৃষ্ট। ত্বক শুষ্ক হলে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক মোটামুটি একই জিনিস। দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখমণ্ডলের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হলো ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি।

ধাপ-৩:

মাস্ক মুখে লাগানোর পর মুখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ও ত্বকের ওপর শক্ত হয়ে প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ফেসপ্যাক সে তুলনায় ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে। বাড়িতে মাস্ক বা ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা পালন করা দরকার। যেমন মাস্ক বা ফেসপ্যাক তৈরি করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন সেই পানি দশ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক রাখার পাত্র হিসেবে কাচ বা চীনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। মিশ্রণের জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করা উচিত। মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর সময় বা লাগানোর পর কথা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এ সময় কচি শসা গোল করে কেটে চোখ ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর প্রথমে কুসুম গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখের মাস্ক বা ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন।