Home লাইফস্টাইল খুব সহজে চুল স্ট্রেইট করার উপায়

খুব সহজে চুল স্ট্রেইট করার উপায়

পার্টি থেকে শুরু করে ঘরোয়া অনুষ্ঠান সব জায়গাতেই চাই নিজেকে একটু গুছিয়ে উপস্থাপন করা। আর এক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করে চুল। এক ঘেয়েমি কোঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো স্টাইল অনেক সময় নিজেকে বিরক্তিকর করে তোলে। আর তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে খুব সহজেই আপনার স্ট্রেইট চুলের স্বপ্ন পুরনের কিছু উপায়ঃ

ক্যাস্টর অয়েলঃ

ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলকে বৃদ্ধি আর চুল সোজা করার গুনাগুণ। এই তেল চুলের ভেতরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে রক্ষা করবে আর স্ট্রেইটনেস বা সোজা ভাবটি বজায় থাকবে।

সয়াবিন তেল

অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের যেকোনো সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায়। এক চা চামচ সয়াবিন তেলের সাথে দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন তারপর হাল্কা গরম করে মাথার তালুতে দিন। এভাবে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবেন।মুলতানি

মাটির হেয়ার মাস্ক

এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য লাগবে ১ কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়ো। প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে মুলতানি মাটি ও চালের গুড়ো দিয়ে ভালো মত মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন। যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই পেস্টটি চুলে লাগান। চুল প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে।

ডিম আর অলিভ অয়েল

ডিম চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল করে। অন্যদিকে অলিভ অয়েল চুলে আর্দ্রতা জোগায়। দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে চুল স্ট্রেট করা যায়। দুটি ডিম ফেটিয়ে নিন। এতে ৪ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে আবার ফেটিয়ে নিন। ভালো করে চুলে লাগান এই মিশ্রণ। এরপর একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। এরপর মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। আধা ঘণ্টা এভাবে রেখে চুল শ্যাম্পু করুন।

মধু এবং দুধঃ

এটা শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্য-ও ম্যাজিকের মত কাজ করে। এক চামচ মধুর সাথে এক কাপ দুধ মেশান। সঙ্গে কয়েকটি স্ত্রাবেরও ক্রাশ করে দিন। এই পেস্ট ২-৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন রেশমী চুলের জন্য।

ঘন ঘন স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল স্ট্রেইট করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। চুলের আগা ফেটে যায় ও চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ। যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে উঠে না। উপরে দেয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন। অবশ্যই উপকার পাবেন। সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকবে আপনার চুলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও। তবে যথেষ্ট ধৈর্য্য ধরতে হবে।

কলা আর মধু

একটি কলা, কয়েক চামচ মধু, আধা কাপ দই, তিন চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে ভলো করে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। একটি তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে নিন।

নারিকেলের দুধ

এক কাপ তাজা নারিকেলের দুধে একটি লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করে চুলে আর মাথার স্কাল্পে এই মিশ্রণ ভালো মাখুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ আটকে দিন। এর ওপর পাতলা তোয়ালে গরম পানিতে জড়িয়ে নিন। ৩০ মিনিট এভাবে রেখে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়িয়ে ফ্যানের হাওয়ায় শুকিয়ে নিন।

সেলেরি

কয়েকটি ফ্রেশ সেলেরি পাতা ক্রাশ করে নিন এবং পানিতে মিশিয়ে দিন। এরপর পানির ভেতর হাত দিয়ে পাতাগুলো আরও ভালো ভাবে কচলে নিন যেন পাতার নির্যাস পানিতে মিশে যায়। তারপর মিশ্রণটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখুন ১দিন। এতে করে পাতার ভেতর চুল সোজা করার যে যে উপাদান আছে সব ভালোভাবে ডেভেলপ করে। প্রতিদিন গোসলের আগে স্কাল্পে এই সলিউশন লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।