নয়ন জুড়ানো সবুজ স্নিগ্ধ বনানী ঘেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর অরন্যরানী লামা। উঁচু-নীচু পাহাড়, পর্বত নদ-নদী, উর্বর উপত্যকা আর দুর্গম চিরহরিৎ বনভূমি এ লামা উপজেলাকে দান করেছে এক অনন্য নিসর্গ আর বৈচিত্র্যময় ভূগোল। যে কেউ চাইলে দুইদিনের জন্য ঘুরে যেতে পারেন এই স্বর্গরাজ্য থেকে।
১.কোয়ান্টাম শিশু কানন(লামা থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। গাড়ি নিয়ে যাওয়া লাগবে। এইখান থেকে আপনি সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন যা কিনা কক্সবাজার এর সূর্যাস্ত থেকে সুন্দর।)
২. মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স (লামায় পোঁছানোর ৭ কিলো আগে। পাহাড়ের উপর অবস্থিত কিছু ছোট ছোট কুটারি আছে। তাছাড়া একটা টাইটানিক এর মতো ছাদ আছে।যা টাইটানিক নামেই অবিহিত করা হয়)
৩. লামা বাজার (খুব প্রসিদ্ধ লামার বাজার।শনিবারে মার্মা পাড়ায় গেলে অনেক অভিজ্ঞতা হবে বলে মনে করা হয়। কারণ ওই দিন এমন অনেক কিছুই দেখা যাবে যা আপনি কখনো দেখেন নি।)
৪. লামার খোকা বাবুর মিষ্টি এবং চৌরঙ্গীর মিষ্টি (নাম করা এই দুই দোকানের মিষ্টি)
৫. মাতামুহুরি ব্রীজ (বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত থাকলে আপনি দেখতে পাবেন দিগন্ত রেখা)
৬. নদীর ঘাট (জায়গাটা অনেক জনের কাছে নিজ বাড়ি থেকে ও প্রিয়।সবাই জায়গাটাকে বেঙ্গল বলে অবিহিত করে।এইখান থেকে দেখেতে পাওয়া যাবে অনেক নৌকা।সাথে সুখ আর দুঃখের পাহাড় এর সৌন্দর্য্য তো আছেই।)
৭. সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ মন্দির (বেশ নামকরা এই বৌদ্ধ মন্দির)
৮. মিরিঞ্জা পাড়া। (আহা এ যেনো একটুকরো স্বর্গ। ভোর বেলা এই পাড়া থেকে দেখতে পাবেন আপনি অনেক গুলো পাহাড়ের উপর আছেন যা কিনা আপনার নিচে অবস্থান করছে।তাছাড়া সাথে তো কুয়াশা ভরা ছোট ছোট বাড়ি গুলোর দেখাতো পাবেন।এই জায়গা টাকে সাজেক বলা যায়।তার মানে আপনি এইখান থেকেই সাজেকের একটা ফিল পেয়ে যাবেন)
৯. লামা টু মানিকপুর বোট ভ্রমণ (লামা থেকে বোটে করে মানিকপুর যাওয়া আসা করা যাই।যাওয়ার সময় চোখে পড়বে দুইদিকেই অনেক বড় বড় পাহাড় মাঝখানে ছোট একটা মাতামুহুরি নদী।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে বাসে চকরিয়া, তারপর চকরিয়া থেকে বাসে স্বর্গরাজ্য লামায়।
- ঢাকা থেকে চকরিয়া=৭৫০ টাকা
- চকরিয়া থেকে লামা=৪০ টাকা (বাসে)
- লামা থেকে মানিকপুর যাওয়া আসা ১২০০ / ১০০০টাকা
- কোয়ান্টাম যাওয়া আসা ১৩০০/১৫০০ চাঁদের গাড়ি।
- লামা থেকে মিরিঞ্জা পাড়া ভোরের বাসে ১০ টাকা করে