রোজায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে দূরে থাকতে হয়। এসময় কমবেশি সবার যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হচ্ছে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা ও স্টোমাক ব্লোটিং। কখনো কখনো সমস্যাটি বেশ অস্বস্তিতেই ফেলে দেয়। সুস্থ দেহে রোজা রাখতে চাইলে সেহরি ও ইফতারের খাবারে কিছুটা নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা ইফতার ও সেহরির খাবারের উপরেই নির্ভর করবে আপনার সারাদিনের সুস্থতা।
রোজার সময় গ্যাসের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়াকে। গ্যাসের ব্যথার কারণে রোজা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হন। অ্যাসিডিটি জনিত নানা সমস্যা দূর করতে ইফতারের সময় কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে।
স্ট্রবেরি – গ্যাস তাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় স্ট্রবেরি। ইফতারে ৫/৬টি স্ট্রবেরি পেটে গ্যাসজনিত অস্বস্তি বা অন্ত্রের গ্যাসযুক্ত যন্ত্রণা প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
আপেল সাইডার ভিনেগার – এটি কেবল দাঁতের জন্যই ভালো না, স্টোমাক ব্লোটিংয়ের জন্য সেরা প্রাকৃতিক সলিউশন এটি। এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে দুই চা চামচ ভিনেগার মেশান। খালি পেটে খেলে পেটে গ্যাস জমবে না।
আনারস – আনারস প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য ভেঙে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
সবুজ রস – টাটকা সবুজ উপাদান- পাতা কপি, শাক, শসা, লেটুস দিয়ে তৈরি রস গ্যাস হ্রাস করে।
আদা – পেট খারাপ হলে আদার রস খাওয়া যেতে পারে। এটি পাকস্থলীকে শান্ত রাখে।
কাঁচা মধু – জনপ্রিয় ঘরোয়া সমাধান। পেটে বেশি গ্যাস হলে এক টেবিল চামচ কাঁচা মধু খান।
দারুচিনি – দারুচিনি পরিপাক প্রক্রিয়ায় চর্বি বিপাকে সাহায্য করে। ফলে শরীরের অতিরিক্ত গ্যাস অপসারণ করে।
মৌরি – পেট ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং পুষ্টির সঠিক শোষণ নিশ্চিত করে।
পুদিনাপাতা – প্রায় সবখানেই ইফতারে এ উপাদানটির উপস্থিতি থাকে। খাবারের সঙ্গে খান বা কাঁচা পুদিনাপাতা একটু চিবিয়ে নিন। ভালো বোধ করবেন।
সেহেরিতে যা খাবেন নাঃ সেহরিতে এমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা থেকে গ্যাসের কোনো ভয় থাকবে না।
- ডিম
- ডাল
- খিচুরি
- তেলযুক্ত খাবার
- লেবু
- কোল্ড ড্রিংকস
- ফাস্টফুড জাতীয় খাবার
এই খাবার গুলি খুব দ্রত গ্যাস তৈরি করে।