Home লাইফস্টাইল প্রোটিনের অভাব দূর করবে প্রোটিন পাউডার

প্রোটিনের অভাব দূর করবে প্রোটিন পাউডার

মাছ, মাংস, ডিম, দুধ- এগুলোই আমাদের প্রোটিনের বড় উৎস। কিন্ত অনেক সময় অনেক কারণেই এই কঠিন খাদ্য একসাথে খাওয়া সম্ভবপর হয়ে উঠে না। তাছাড়া সকালে আমাদের ব্রেকফাস্টে আমরা প্রায়ই রুটি সবজি খেয়ে থাকি। এতে যথেষ্ট পরিমান কার্বোহাইড্রেট থাকলেও আমিষের একটি বড় পরিমান ঘাটতি থেকে যায়। তাছাড়া যখন আমরা কোনো ক্যাম্পেইন বা অভিযানে যাই তখন আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তির দরকার হয়। কিন্ত পেট ভরা অবস্থায় এইসব কাজ করা খুবই দুরূহ হয়ে পড়ে। তখন একদিকে যেমন শরীর হালকা হওয়া জরুরি, অন্যদিকে পর্যাপ্ত পরিমান শক্তি দরকার। এমতাবস্থায় এই প্রোটিন পাউডার আপনার জন্য মারাত্মক সুখবর বয়ে আনতে পারে।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায়। একদিকে এগুলোর দাম যেমন থাকে চড়া, অন্যদিকে এদের উপাদান নিয়ে জনমনে আছে শঙ্কা। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন রেসিপি অ্যালবাম খুঁজে পাবেন বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের রেসিপি। কিন্ত এগুলো সবকটি বানাতে গেলে একদিকে যেমন আপনার শারীরিক শক্তির ব্যয় হবে, অন্যদিকে আপনার আর্থিক সচ্ছলতায়ও টান পড়তে পারে। তাই আপনাদের এইসব অসুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা এনেছি এমন একটি রেসিপি যা মোটামুটি সব কিছুর চাহিদাই পূরণ করবে। দুধের উপাদানে তৈরি এই প্রোটিন পাউডারের প্রস্তুত প্রণালি নিম্নরুপঃ

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ

১। ৩ কাপ বা ২৪০ গ্রাম গুঁড়ো দুধঃ নন ফ্যাট দুধ হলে সবচেয়ে ভালো। দুধ একটি উৎকৃষ্ট প্রোটিন উপাদান। ১ কাপের ৩ ভাগের এক ভাগ গুঁড়ো দুধে থাকে ৮০ ক্যালোরি, ৮ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮টি জরুরী পুষ্টি উপাদান।

২। ১ কাপ বা ১৪২ গ্রাম কাঠবাদামঃ এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী উপাদান থাকে।

৩। ১ কাপ বা ৮০ গ্রাম শুকনো ওটসঃ এতেও প্রচুর আঁশ থাকে এবং পেটকে সবসময় ভরা রাখতে সাহায্য করে।

৪। পরিমাণ মতো মিষ্টি মিশাতে পারেন।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

১ কাপ দুধ, ১ কাপ কাঠবাদাম এবং ১ কাপ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিয়ে মিহি না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ডার করে নিন। এরপর বাকি গুঁড়ো দুধটুকু নিয়ে আবারও ব্লেন্ডার করে নিন। তারপর এয়ারটাইট কন্টেইনারে ২ সপ্তাহের জন্য রেখে দিন। তবে ২ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাবহার করতে চাইলে কক্ষ তাপমাত্রায় বা রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। দেখবেন এটি সুন্দর ব্যাবহার উপযোগী হয়ে গেছে। ব্যবহার করার জন্য ১/২ কাপ পাউডার আধা কাপ পানিতে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। সম্ভব হলে এটা ৫-১০ মিনিট রেখে দিন যাতে ওটস পানি টেনে নিয়ে ঘন হতে পারে। এরপর এতে ফল, ফ্লেভারিং, দই বা দুধ দিতে পারেন আপনার স্বাদমতো। ভ্যানিলা বা আমন্ড এক্সট্রাক্ট এর সাথে এটা যে দারুণ লাগবে তা বলার অপেক্ষাই রাখে না।