Home লাইফস্টাইল পায়ের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি

পায়ের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই  আছেন যাদের পা জ্বালাপোড়া সমস্যা রয়েছে। এটি এমন একটি সমস্যা যা যেকোন বয়সের যে কারোরই হতে পারে। প্রথম দিকে জ্বালাপোড়া কম থাকলেও পরবর্তীতে অনেক সময় তা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে হতে পারে পায়ের এই জ্বালাপোড়া। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো স্নায়ুরোগ। ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মদ্যপান, অপুষ্টি বিভিন্ন কারণে হতে পারে স্নায়ুরোগ। এছাড়াও ভিটামিনের অভাব( ভিটামিন বি১২ এবং বি৬), দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ, থাইরয়েড সমস্যা, এইচআইভি,উচ্চ রক্তচাপ, পানি চলে আসা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণেও হতে পারে স্নায়ুরোগ। এই অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ঘরোয়া কিছু উপায়ে।

১। আদা

এক চা চামচ আদার রসের সাথে কুসুম গরম নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পায়ে ম্যাসাজ করুন ১০-১৫ মিনিট। এটি দিনে একবার করুন। এছাড়া আদা চা পান করতে পারেন। এটিও সাহায্য করবে পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে।

২। হলুদ

বহুগুণী হলুদ সাহায্য করবে আপনার পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করতে। কুসুম গরম পানিতে ১-২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। এছড়া দুই টেবিল চামচ হলুদ পানিতে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি পা ম্যাসাজ করে লাগান। সাময়িকভাবে পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেবে এটি।

৩। করলার পাতা

এক মুঠো করলার পাতার সাথে কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি পায়ে ম্যাসাজ করে লাগান। কয়েকবার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেবে।

৪। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে বেশ কার্যকর অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। কেননা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের পিএইচ লেভেল শরীরের তাপমাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে। দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক বোল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে পা দুটি ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এটি প্রতিদিন করুন। এছাড়া কুসুম গরম পানিতে এক বা দুই চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।

৫। ইপসোম সল্ট

একটি পাত্রে পানির সাথে ইপসোম সল্ট মিশিয়ে নিন। পানি এবং স্লট ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণে পা দুটি ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। দেখবেন জ্বালাপোড়া কমে গেছে অনেকখানি।

৬। ঠান্ডা পানি

একটি পাত্রে বা বোলে বরফ মেশানো পানি নিন। এই পানিতে পা দুটি ভিজিয়ে রাখুন। এইভাবে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন পায়ের জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে গেছে। এটি দিনে কয়েকবার করুন।