সিলেট অঞ্চলের পর্যটনগন্তব্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উন্নত ব্যবস্থাপনা ও পর্যটক বান্ধব হচ্ছে লালাখাল। সিলেট কে ঘিরে রাখা মেঘালয় পাহাড় শ্রেনীর উত্তর-পূর্ব অংশে জৈন্তাহিলস এর ঠিক নীচে লালাখাল। লালাখাল এর কাছেই ভারতীয় সীমান্ত থেকে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সারী নদী। বাংলাদেশের সবথেকে সুন্দর নদীগুলোর একটি। শুধু শীতকাল নয়, বছরের বাকী সময় ও (একটানা বৃষ্টি বা পাহাড়ী ঢল ছাড়া) এই নদীর পানি নীলাভ সবুজ থাকে। শীতকালে সারি নদীর জিরো পয়েন্টের কাছে সুন্দর বালুময় সৈকত সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের সবোর্চ্চ বৃষ্ঠিপাতের স্থান এবং রাতের সৌন্দর্যে ভরপুর এই লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালা খালে। যাবার পথে আপনির দুচোখ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্ত সৌন্দর্য শেষ হবে না। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন নদীর পানির দিকে। কি সুন্দর নীল, একদম নীচে দেখা যায়।
সবকিছু মিলিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়, কাঙ্ক্ষিত ও প্রতীক্ষিত একটি স্থান। সড়কপথ, নৌপথ দুভাবেই যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নৌ ভ্রমণটা বেশি উপভোগ্য বলে এটাকেই বেছে নেয় অধিকাংশ পর্যটক। নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন, এ খেয়াল হবেই না! ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। লালাখাল ভ্রমণের জন্য শীতের প্রথম ভাগটাই উপযুক্ত সময়। চাইলে বৃষ্টির দিনে ভ্রমণ করা যেতে পারে। তবে শীতের সময়টা বেশ নিরাপদ।