Home লাইফস্টাইল ত্বকের যত্নে প্রকৃতিক উপাদান

ত্বকের যত্নে প্রকৃতিক উপাদান

ত্বকে সৌন্দর্য আকাঙ্ক্ষা সে তো সবারই থাকে। তবে সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পেতে হলে প্রয়োজন সঠিক উপায়ে রূপচর্চা। আর রূপচর্চার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত উপাদান হলো প্রাকৃতিক উপাদান। চলুন তবে এমনই কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ও তার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

লেবু

রূপচর্চার উপাদান হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত উপাদান লেবু। লেবু  চুলের খুশকি প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দুধ ও লেবুর মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করলে খুশকি দূর হবে। এছাড়া শ্যাম্পু করার পর পানিতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুলে চুল ঝকঝকে রেশম কোমল ও মনোরম হয়ে ওঠে।

টমেটো

নিয়মিত সৌন্দর্যচর্চার উপাদান হিসেবে টমেটো আপনাকে দিতে পারে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন ত্বক। ত্বক পরিষ্কার করতে বেসন বা উপটানের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

এছাড়া মুখ ভর্তি দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন।

ত্বকের পোড়াভাব দূর করতে বাইরে থেকে ফিরে মুখে, গলায় ও হাতে টমেটোর রস লাগান। শুকিয়ে গেলে আরো একবার লাগান। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পোড়া দাগ আর থাকবে না।

মেথি

মেথির কন্ডিশনিং এবং জীবাণুনাশক গুণাগুণ মাথার চামড়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চুল পড়া বন্ধ করে এবং মাথা ঠান্ডা রাখে। ২ চা চামচ মেথি রাতে অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন নরম হলে মিহি করে বেটে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়া বন্ধে একটি অব্যর্থ ঔষধ এটি।

মেহেদি

প্রাচীনকাল থেকেই মেহেদি ব্যবহার করা হয় সৌন্দর্য উপাদান হিসেবে। মেহেদি গাছের পাতা, সুগন্ধী ফুল ও মূল লতা গুল্ম সমন্বিত গুণাগুণ চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, চুলকে ঝলমলে করে তোলে, চুলের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব ও খুশকি দূর করে, মাথাও ঠান্ডা রাখে। মেহেদি পাতা বাটা, টকদই, লেবুর রস ইত্যাদি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলুন।