Home ভ্রমন পূর্ণিমায় ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের জ্যোৎস্নাবাড়ি

পূর্ণিমায় ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের জ্যোৎস্নাবাড়ি

পূর্ণিমায় ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের জ্যোৎস্নাবাড়ি

জোছনা না থাকলে বোধহয় পৃথিবী তার অর্ধেক সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হত। চারপাশে পাহাড় মাঝের উপত্যকায় ছোট্ট কুটির। সেখানে জোছনা কিংবা অমাবস্যায় রাত কাটাতে হলে যেতে হবে চট্টগ্রাম হয়ে মাটিরাঙ্গায়। আর তাই দেরি না করে এবার পূর্ণিমায় ঘুরে আসুন জ্যোৎস্নাবাড়ি

গোধূলির সোনারঙা রোদে উজ্জ্বল পথের দুপাশের বিস্তৃত ধানক্ষেত। প্রকৃতির মোহনীয় অভ্যর্থনা দেখে মুগ্ধ হতেই হবে। কেননা সেখানে ঘাসের বুকে আলোর পাখি জোনাকি যেন তারার চাদর বিছিয়ে রেখেছে। অসংখ্য তারকাখচিত আকাশে যেন নক্ষত্রের রাত। এমন ভয়াবহ সৌন্দর্যের সামনে দাঁড়ালে বুকে ধাক্কা লাগে। তারার আলোয় পাহাড়ি পথ । এ যেন পথ নয়, এ পথ যেন ছায়াপথের, যেন মহাকাশের-মহাকালেরও।

জ্যোৎস্না কুটিরে পা রাখলেই শুনতে পাবেন কত বিচিত্র সব পোকামাকড়ের শব্দ। মনে হবে যেন অন্য কোনো পৃথিবীতে চলে এসেছেন। এত রকম শব্দ, এত রকম বিচিত্র গন্ধ! আকাশে মেঘের খেলা। কখনও ঢেকে দেয় নক্ষত্ররাজিকে আবার পরক্ষণেই তারা জোর করে উঁকি দেয়।

এই অদ্ভুত নিস্তব্ধ রাত্রিতে শিশিরের গন্ধ, আরও নানান বৃক্ষরাজির গন্ধ প্রাণভরিয়ে দিবে। দীর্ঘ রাত কাটবে ন্ত্রমুগ্ধের মতো।

সতর্কীকরণ: এখানে মিলবেনা বিদ্যুতের সুবিধা, এসির ঠাণ্ডা হাওয়া, ফ্রিজের শীতল পানি। বরং মিলবে সৌর বিদ্যুত, কুয়ার ঠাণ্ডা জল, সারিবদ্ধ বৃক্ষের ছায়া আর শরীর জুড়ানো বাতাস, পাখিদের গান, লেকের তাজা মাছ, বাগানের ফল-সবজি। নাগরিক জীবন এখানে বেমানান। প্রকৃতি এখানে তার আপন মহিমায় উপস্থিত।

প্রয়োজনীয় তথ্য: চট্টগ্রাম থেকে মাটিরাঙ্গা বাজার। সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা অথবা মোটরসাইকেল। অবশ্যই প্রকৃতিকে বিরক্ত করা চলবে না। নিজে কিংবা প্রকৃতিকে খুঁজে পেতে হলে নীরবতা অপরিহার্য। জ্যোৎস্নাবাড়িতে রাতযাপন করতে জনপ্রতি খরচ হবে তিনবেলা খাবারসহ প্রায় ১ হাজার ৫শ’ টাকা।