Home লাইফস্টাইল গরমে খাবেন যেসব ঠাণ্ডা খাবার

গরমে খাবেন যেসব ঠাণ্ডা খাবার

আসছে গরমকাল। হু হু করে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আর কয়েকদিন পর এক বিষণ্ণ মূর্তি ধারণ করবে প্রকৃতি। চারদিকে থাকবে কেবল অস্বস্তির আস্ফালন আর ঘামের গুমোট গন্ধ। আবহাওয়াবিদদের মতে, আসছে মৌসুমে গরমের তীব্রতা অন্যান্য বছরের চেয়েও বেশি পড়বে। তাই আগেভাগেই সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজের শরীরকে গরমের হাত থেকে বাঁচাতে এমন কিছু খাবারের দারস্থ হতে হবে, যা হিট স্ট্রোকের হাত থেকে আপনাকে প্রতি মুহূর্তে বাঁচিয়ে রাখবে।

আমাদের প্রচলিত একটা ভুল চিন্তা হচ্ছে গরম লাগলেই আমরা বিভিন্ন ধরনের কোল্ড ড্রিংকস পান করি। এতে তেষ্টা মিটলেও শরীরের অভ্যন্তরীণ যে তাপ, তা কিন্ত কমে না। হ্যাঁ তবে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। কিন্ত এটাই শেষ কথা নয়। তাই এই দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়। এর বদলে পানি খেলেও সামান্য উপকার পাওয়া যায়। তাই গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করাটা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই বিষয় নিয়েই আজ আমাদের লেখা।

গরমে আপনার স্বস্তির ভাগীদার হবে যে খাবারগুলো-

> ডাবঃ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস, যা শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে শক্তি বাড়াতেও সাহায়তা করে। তাই গরমকালে প্রতিদিন কম করে হলেও একটা ডাব খেতেই হবে।

> শসাঃ পানির সাথে সাথে আঁশ থাকার কারণে গরমকে হারাতে শসার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাছাড়া এতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন থাকার কারণে এটি খেলে শরীর ঠাণ্ডা তো হয়ই, সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়।

> দইঃ গরমে সবথেকে আদর্শ খাবার হলো টক দই। কারণ এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরকে চনমনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

>  মিন্ট পাতাঃ শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে মিন্ট পাতার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই গ্রীষ্মকালে খাবারের সঙ্গে মিন্ট পাতা মিশিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকে। উল্লেখ্য, ডালে বা দইয়ে মিন্ট পাতা দিয়ে খাওয়া যেতে পা্রে অথবা চাটনি বানিয়েও খেতে পারেন।

> লেবুর পানিঃ তেষ্টা মেটাতে কোল্ড ড্রিংকস না খেয়ে এবার থেকে লেবুর পানি খাওয়া শুরু করুন। গরমের সময় শরীরকে তাজা রাখতে এটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এটা শরীরের সজীবতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

> সবুজ শাক-সবজিঃ এই ধরনের খাবারে আঁশ এবং পানির মাত্রা খুব বেশি পরিমাণে থাকে। তাই প্রতিটা খাবারের সঙ্গে অল্প করে সবজি খেলে শরীরে পানির মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙা হয়ে ওঠে, অনেক ভিটামিনের অভাবও পূর্ণ হয়।

> তরমুজঃ কোনো ফলে যদি পানির মাত্রা বেশি থাকে আর তা হচ্ছে তরমুজে! তাই গরমকালে এই ফলটি খাওয়া অনেকটা গ্র্যান্ড উপকারেরি সামিল। কারণ গরমের সময় মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হয়। ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। আর এমনটা হলেই ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা বেঁড়ে যায়। তরমুজে থাকা পানি মানবদেহের এই পানির ঘাটতি দূর করে পানির অনেকখানি অভাব পুরন করে।

> হালকা খাবারঃ গরমে কোনো ক্রমেই ভারী বা অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। আর পানি তাড়াতাড়ি শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার ফলে শ্বসন ঘটতে বিলম্ব হয়। তাই গরমকালে এসব খাবার যতটা সম্ভব বর্জন করা উচিত এবং বেশি বেশি আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

মোটকথা, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই সব দিকে সচেতনতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমদের সেভাবেই গরমকে মোকাবেলা করা উচিত।