Home লাইফস্টাইল এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

কম বেশি আমাদের সবারই এলার্জির সমস্যা রয়েছে। এর কারণে খুব ভুগে থাকেন অনেকেই। এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন এর যন্ত্রণার কথা। এলার্জি দূর করতে নানারকম প্রচেষ্টাও করে থাকেন অনেকেই। সুস্বাদু সব খাবার সামনে রেখেও খেতে পারেন না শুধু এলার্জির ভয়ে। যার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। এটি দূর করা তবু যেন সম্ভব হয় না। এলার্জি হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ ও গরুর দুধ খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলে আপনার এলার্জি আছে ধরে নিতে হবে। মানব জীবনে এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী যে সেই জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায় বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। তবে একটি উপায় মেনে চললে সহজেই আপনি এলার্জিকে দূর করতে পারবেন সারা জীবনের জন্য। চলুন জেনে নেই এলার্জি থেকে মুক্তি চিরতরে-

১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না, যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর গোশত, চিংড়ি, কচু, কচুশাক, গরুর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য খাবার খান। আর সমস্যা হবে না।