Home লাইফস্টাইল মাশরুমের পুষ্টিগুণ

মাশরুমের পুষ্টিগুণ

আমরা দৈনন্দিন যেসব খাবার গ্রহণ করে থাকি সেগুলোর চেয়ে মাশরুমের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে বেশি বলে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে শরীর সুস্থ সবল রাখতে অতি মাত্রায় সাহায্য করে। মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, মিনারেল ও ভিটামিন (সব); চর্বি ও শর্করা (স্বল্প); ফলিক অ্যাসিড, লৌহ-প্রভৃতি ওষুধি গুণাগুণ ও উপাদান থাকায় এটি মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বর্ধনপূর্বক ডায়াবেটিস; ব্লাডপ্রেসার; কিডনি ও এলার্জি; যৌনরোগ ও অক্ষমতা; আলসার, বাতের ব্যথা প্রভৃতি জটিল ও কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি মুক্ত করে নিরাময়কের মহাভূমিকা পালন করে থাকে।

মাশরুমের পুষ্টিমান তুলনামূলকভাবে অত্যধিক এবং এই প্রোটিন অতি উন্নতমানের এবং মানবদেহের জন্য অতিশয় উপকারী। একটি পরিপূর্ণ প্রোটিনের পূর্বশর্ত হলো মানবদেহের অত্যাবশ্যকীয় ৯টি অ্যাসিডের পরিমাণের উপস্থিতি। মাশরুমে অতীব প্রয়োজনীয় এই ৯টি এমাইনো অ্যাসিড বিদ্যমান।

অন্যান্য প্রাণিজ আমিশ যেমন-মাছ, গোশত, ডিম অতি নামী-দামি খাবার হলেও এতে চর্বি সম্পৃক্ত অবস্থায় থাকায় তা অতি মাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে, যার ফলে মেদ-ভুঁড়ির সৃষ্টি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ প্রভৃতি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

মাশরুমের প্রোটিনে-ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অতি স্বল্প এবং কোলেস্টেরল ভাঙার উপাদান-লোভস্ট্রাটিন, এন্টাডেনিন, ইরিটাডেনিন ও নায়াসিন থাকায় শরীরের কোলেস্টেরল জমতে পারে না বরং মাশরুম খেলে শরীরে বহু দিনের জমানো কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায় এবং শরীর হালকা-পাতলা হয়ে রোগমুক্ত হয়।

তাই আমাদের মাশরুম খাওয়া উচিত।