বলা হয়ে থাকে এই গ্রহের সব থেকে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ বৃক্ষ দারুচিনি। দারুচিনি বৃক্ষের ছাল বা চামড়াই মূলত মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুন্দর সুবাসের জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষের মধ্যে এর চাহিদার কোন কমতি হয়নি। দারুচিনিতে রক্তের শর্করা রোধকসহ উন্নত অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে। দারুচিনি একাধারে খাবারের মসলা হিসেবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রদাহ কমানো কিংবা স্নায়বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও বিশেষ কার্যকরী। আসুন জেনে নিই গুণে ভরা দারুচিনি সম্পর্কে-
চিরসবুজ বৃক্ষ এই দারুচিনির ছাল শত বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে শ্বাসতন্ত্র ও হজমের সমস্যা দূর করে থাকে।
প্রাচীন মিসরীয়রা দারুচিনি থেকে সুগন্ধি তৈরি করতেন। একই সময়ে রোমানরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে দারুচিনি ব্যবহার করতো।
তবে আধুনিক যুগে এসে বিজ্ঞানীরা দারুচিনিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। মানব স্বাস্থ্যের জন্য উন্নতির জন্য দারুচিনির অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে সর্বোত্তম পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে চাইছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি অব নিউট্রিশন এন্ড ডায়াটেটিকসের মুখপাত্র লউরি রাইট বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই দারুচিনি ব্যবহার করে উপকারিতা পেলেও নির্দিষ্ট করে সেগুলো নিয়ে আগে তেমন গবেষণা হয়নি। তাই এখন আমরা এটা অনুসন্ধান করে দেখতে চাইছি যে দারুচিনি আসলে কীভাবে মানব স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য কাজ করে।
দারুচিনির প্রধান দুটি প্রকার রয়েছে। যার মধ্যে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত সিলন ভার্সনের দারুচিনিই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, দারুচিনি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের এলডিএল এর মাত্রা কমায়।
ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও দারুণ কার্যকরী দারুচিনি। ঈস্ট ছত্রাক ঘটিত ইফেকশন প্রতিরোধে দারুচিনির চমৎকার গুণাবলী রয়েছে।
হৃদরোগীদের জন্যও দারুচিনি খুব উপকারী। এ
টি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
দারুচিনি মারণ ব্যাধি লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধে কাজ করে।
রক্ত জমাট না বাঁধার অসুখ হিমোফিলিয়া প্রতিরোধ করতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখে দারুচিনি।