Home ভ্রমন শীতের মৌসুমে ঘুরে আসুন মন ভোলানো সমূদ্র সৈকত কক্সবাজার

শীতের মৌসুমে ঘুরে আসুন মন ভোলানো সমূদ্র সৈকত কক্সবাজার

আসছে শীতকাল। বছর ঘুরে শীত আবারও আমাদের দুয়ারে। জানাচ্ছে ভ্রমণের হাতছানি। শীতকাল হল ঘুরে বেড়ানোর আদর্শ সময়। মানসিক প্রশান্তি এবং বিনোদনের জন্য মানুষ সারা বছরই ভ্রমণ করে বটে, কিন্তু শীতেই বেশিরভাগ মানুষ ভ্রমণে সাচ্ছন্দবোধ করেন। এর একটা প্রধান কারণ হচ্ছে শীতের আবহাওয়া ভ্রমণের জন্য বেশ উপযোগী।

কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। তাই এই শীতে ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজার থেকে। কক্সবাজার যে শুধু বাংলাদেশের সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত তা নয়, এটি পুরো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, এর দৈর্ঘ্য ১২০ কি:মি:।

পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। বালুকাবেলায় নোনাজলের ফেনিল ছাপ স্পষ্ট। সমুদ্রের গর্জন ধেয়ে আসে কিনারে। আছড়ে পড়ে ঢেউ। পড়ন্ত বেলায় সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। আকাশে পাখি আকৃতির লেজহীন ঘুড়ি চোখের আড়াল হতে থাকে। দিনভর তেজোদ্দীপ্ত সূর্যটা ম্রিয়মান সমুদ্রের জলে। প্রথাগত এসব নিয়মের বাঁধ ভেঙ্গে ছুটে আসে মানুষের দল। সকাল, দুপুর, বিকেল নেই; হাজারো মানুষের পদচারণায় জেগে থাকে সৈকত। শীত মৌসুমে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল একটু বেশী নামে। বর্তমানে শুধু শীত মৌসুমেই নয় সারা বছরই পর্যটকে মুখরিত থাকে কক্সবাজার।

কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষণ সমুদ্রসৈকত। সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। কক্সবাজারে গেলে এমনটিই হয়। এই সৈকত একবার দুবার ঘুরে দেখার পরও মনের আশা পূরণ হবে না। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত মানেই এই দুর্নিবার রহস্য-রোমান্সের হাতছানি। মনে শুধু হয় উড়–উড়–। কখনও সমুদ্রসৈকতে, আবার কখনও বা কস্তুরিঘাটে। বিশ্বসেরা এই সোনালিসৈকতে স্বপ্নের মতো কাটবে কয়েকদিন।

Visit the winter season, Cox's Bazar beach

শীত-রাতের গভীরতা বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে সৈকত মার্কেটগুলোর বর্ণিল আলোর ছটা। লাল, নীল, সবুজ, সাদা, হলুদসহ রকমারি আলোর মিশেলে যোগ করে এক ভিন্নমাত্রা। হরেক পণ্যের দোকানে পর্যটকদের আনাগোনা চলে মধ্যরাত অবধি।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছাড়াও তার আশপাশের রামু, মহেশখালী, সোনাদিয়া, ইনানী, হিমছড়ি, টেকনাফ আর সেন্টমার্টিন দেখার মতো সুন্দর জায়গা।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকে কক্সবাজারে সরাসরি বাস চলাচল করে। কক্সবাজারে রিক্সা-অটোরিক্সা সবই রয়েছে। পর্যটন এলাকা তাই ভাড়াটা তুলনামূলক একটু বেশীই।

ঢাকা থেকে এসি, নন-এসি সহ হানিফ, এসআর, শ্যামলি, সোহাগ, গ্রীনলাইন সহ বেশ কিছু বাস সার্ভিস ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া আসা করে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে, চট্টগ্রাম থেকে বাসে আথবা ট্রাক্সিতে যেত পারেন।

যেখানে থাকবেন

কক্সবাজারে রাত্রি যাপন করার জন্য অসংখ্য আবাসিক হোটেল রয়েছে। যেমন আল হেরা ইন্টারন্যাশনাল, ড্রিমল্যান্ড, আল আমিন, ডায়মন্ড প্যালেস, গেস্ট হাউস, গ্রিন কটেজ, হক গেস্ট ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল হলিডে, হোটেল কক্সবাজার, হোটেল পানওয়া, হোটেল সি কুইন, উর্মি গেস্ট হাউস, আল সালমান হোটেল, দ্যা গ্র্যান্ড হোটেল, হোটেল পালংকি, হোটেল সাগরগাঁও, হোটেল বানু প্লাজা, হোটেল নিরিবিলি, হোটেল সানমুন, হোটেল গার্ডেন, হোটেল কল্লোল, হোটেল ব