Home লাইফস্টাইল দাঁতের চিকিৎসায় কলার খোসা!

দাঁতের চিকিৎসায় কলার খোসা!

কলার নানা পুষ্টিগুণের কথা সবাই জানেন, কিন্তু কলার খোসা কি কোনো কাজে লাগে? কলা খাওয়ার পর এর খোসা যেখানে-সেখানে ফেললে নানা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু কলা যেমন উপকারী, এর খোসার উপকারিতাও কিন্তু কিছু অংশে কম নয়। কলার খোসাকে আপনি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে দাঁতকে সাদা করতে এর ভূমিকা উল্লেখ না করে পারা যায় না।

কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তুলবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।

১। প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিকভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরি। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।

২। কলা উল্টো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উল্টো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশগুলো থাকবে খোসার সাথেই।

৩। খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।

৪। দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।

৫। এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌঁছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।

এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন এবং সঠিক নিয়ম মেনে।