Home লাইফস্টাইল ছেলেদের ফ্যাশনে বেল্টের ব্যবহার

ছেলেদের ফ্যাশনে বেল্টের ব্যবহার

ছেলে কিংবা মেয়ে সবারই ফ্যাশনের আলোকে নিজেকে সাজানোর একটি নিশ্চুপ প্রতিযোগিতা যেন মনে মনে চলতে থাকে। একটি সময় ছিলো যখন ফ্যাশন বলতে শুধু শার্ট, প্যান্ট, কোর্ট বোঝাতো।স্মার্টলুকের জন্য শুধু পোশাকই নয়, চাই ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ। ছেলেদের অত্যাবশ্যক একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে বেল্ট। জিন্স কিংবা ফরমাল, যে কোনো প্যান্টের সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষঙ্গটি স্টাইলিশ লুকের জন্যও জরুরি।বর্তমানে ছোট ছোট অনুষঙ্গগুলো ফ্যাশনের অনেক বড় অংশ হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে বেল্ট অন্যতম। এই বেল্ট ছেলেদের আউটলুকে কেবল পার্থক্যই নয়, সেইসাথে এনেছে স্মার্টনেস।

প্যান্টকে কোমরে আটকে রাখতেই বেল্টের ব্যবহার শুরু হলেও এখন এটি ফ্যাশন অনুষঙ্গও যা পোশাকের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। আর যেহেতু বেল্টের অনেক ধরন রয়েছে, তাই এটি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

স্ট্যান্ডার্ড সিঙ্গেল বেল্ট সাধারনত ৩৪” হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৬” বা তার বেশি করে নেয়া যায় কোমরের মাপ অনুযায়ী ।

ফর্মাল বেল্ট সাধারনত 2″-2.5″ fine leather হয়ে থাকে, তবে এখন কিছু কৃত্রিম ফোম কিনবা চামড়ার বেল্টও পাওয়া যায়। রঙের ক্ষেত্রে কালো , বাদামী , কফি , চকলেট কালার কিনবা এই রকম গারো রঙের হওয়া উচিত। যেহেতু ফর্মাল লুক মানেই নিজেকে একটু সুন্দর ভাবে প্রকাশ করা তাই এক্ষেত্রে আপনার জুতার রঙ এবং বেল্টের রঙ একই হলে ভাল হয়। এক্ষেত্রে ধাতব বক্লেসটি বেশি চকচকে না হওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে ভাল হয় যদি বেল্টের রঙ ঘড়ির বেল্টের রঙের সাথেও মিলে যায় আর বক্লেস টি মিলে যায় ঘড়ির ডায়াল এবং বেল্টের সাথে ।একই সাথে টাই ক্লিপ টিও হতে পারে একই ধাতব রঙের ।

ক্যাজুয়াল বেল্ট গুলো সাধারনত .5″ – 1″ হয়, Buckle টি ধাতব, একটু বড় চকচকে হতে পারে, আর বেল্ট হতে পারে চামরা,ফাইবার বা কাপড়ের তৈরি। একটু বেশি ডিজাইন থাকতে পারে এতে। রঙের ক্ষেত্রে আপনার জিন্স কিনবা টিশার্টের কোন একটি কালার মিলিয়ে নিতেই পারেন। আর চাইলে কনভারস, স্নিকার বা জুতার রঙের সাথেও মিলাতে পারেন বেল্টটি। রঙ হতে পারে হাল্কা বাদামী, সাদা কিংবা যে কোন মানানসই রঙ।

আগে পোশাকের সাথে মিল রেখে পরা হতো বেল্ট আর পছন্দ করা হতো তার রঙ। কিন্তু এখন বেল্ট এর রঙ আর জুতার রঙ এক হয়ে থাকে। আর শার্টের বিপরীত অথবা একটি উজ্জ্বল রঙ পরে থাকে প্রায়ই ছেলে। এই বেল্ট গুলো হয়ে থেকে যেমন চামড়ার তেমনি কাপড়ের বেল্ট এবং সিনথেটিকে বেল্ট। এতে যেমন এছে রঙের বৈচিত্রতা তেমনি আকারেরও।কেউ পছন্দ করে জমকালো বেল্ট। কারো আবার পছন্দ একরঙা বেল্ট, আবার কারো পছন্দ কয়েকটি রঙের সংমিশ্রণের বেল্ট। তবে তরুন্দের পছন্দ একটু রঙিন বেল্ট। এক সময়ের চাহিদা যদিও ছিলো কালো, সাদা, কিংবা হালকা রঙের বেল্ট। কিন্তু এখন গাঢ় রঙের প্রতি ঝুঁকছেন তরুণরা।

বর্তমানে বাজারে রেক্সিন, লেদার এবং কাপড়ের বেল্টই বেশি দেখা যায়। উন্নত মানের বেল্টগুলো সাধারণত লেদারের হয়ে থাকে। রেক্সিনের চেয়ে লেদারের বেল্ট অনেক বেশি স্থায়ী হয়। তবে দুই প্রকার বেল্ট দেখতে প্রায় একই রকম। চামড়ার বেল্টগুলোর মধ্যে রয়েছে বেণি, সাইড বিট প্যাটার্ন, কালার ম্যাট বেল্ট, বিট সেট ইত্যাদি।

পোশাক বুঝে বেল্ট পরুন। ফরমাল ড্রেসের সঙ্গে বেছে নিন কম ডিজাইন করা বেল্ট। আর ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে ভালো লাগবে মেটাল বেল্ট। কাপড়রে বেল্ট কালো, লাল, ছাই, সাদা বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায়। এ ধরনের বেল্টগুলো জিন্সের সঙ্গেও বেশ মানায়। লেদারের বেল্ট কালো, চকোলেট, মেরুন ও বাদামি চার রঙের হয়। এ ধরনের বেল্ট ফরমাল পোশাকের সঙ্গে ভালো দেখায়।

বর্তমানে তরুণদের কাছে ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে পাথর বসানো বকলেসের বেল্ট বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া কাপড়ের বেল্টেরও চাহিদা রয়েছে। আর ফরমাল প্যান্টের সঙ্গে মানানসই চামড়ার বেল্ট বরাবরের মতো এখনো জনপ্রিয়।

প্রাপ্তিস্থান ও দাম

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, বঙ্গবাজারে বেল্টের পসরা অনেক বেশি। চামড়া, কৃত্রিম চামড়া, রেক্সিন, কাপড়সহ নানা উপাদানে বেল্ট পাওয়া যায় দেশের বাজারে। ৫০-৬০ থেকে শুরু করে প্রায় হাজার টাকা দামেরও বেল্ট রয়েছে এখানে।