Home লাইফস্টাইল খুব সহজে অ্যাসিডিটি কমানোর উপায়

খুব সহজে অ্যাসিডিটি কমানোর উপায়

অ্যাসিডিটির পিছনে মূল যে কারণটি দায়ি থাকে তা হল খালি পেট। আসলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই যদি পেট খালি থাকে, তাহলে স্টমাকে উপস্থিত অ্যাসিডিগুলি খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বদ হজম সহ নানাবিধ ডাইজেস্টিভ প্রবলেম দেখা দেয়। খাবারের অনিয়মের কারণেও আমাদের শরীরে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় সব মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে। অ্যাসিডিটি হলে খাবার হজমে সমস্যা হয়, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হয়, ফলে পেটে ও বুকে জ্বালা, পেট ব্যথা করে, বমি বমি ভাব হয়। এছাড়া আরও নানা রকমের সমস্যার সূত্রপাত ঘটে। অনেক কিছু করেও এই সমস্যাটি কমে না। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললেই অ্যাসিডিটিকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নিই খুব সহজে অ্যাসিডিটি কমানোর উপায় সম্পর্কে-

দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খান এবং যেকোনো তরল পানীয় ধীরে ধীরে পান করুন। তবে স্ট্র ব্যবহার করে কোনো পানীয় পান করবেন না।

অতিরিক্ত তেল, ঝাল ও মশলা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। যদি তেল মশলা জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন, তাহলে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে অবশ্যই এক গ্লাস পানি খান।

নিয়মিত একই সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং খাদ্য তালিকায় রাখুন সবুজ শাক সবজি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে সামান্য গোল মরিচ গুঁড়ো ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি দূর হয়।

মৌরী, আমলকি এবং গোলাপ ফুল সম পরিমাণে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিয়ে সকাল বিকাল খেলেও উপকার মেলে।

অ্যালকোহল ও চুইংগাম জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন। তেতো জাতীয় খাবার বেশি করে খান।

গ্যাস-অম্বল হলেই এক কাপ আদা চা খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস-অম্বল একেবারে কমে যাবে। আসলে আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যাতে নিমেষে কমিয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোনও বিরল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাকের অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।