Home ভ্রমন কাশ্মীর খ্যত নীলাদ্রি লেক

কাশ্মীর খ্যত নীলাদ্রি লেক

কাশ্মীরকে বলা হয় পৃথিবীর স্বর্গ। এর মোহনীয় প্রকৃতি সকলকেই মুগ্ধ করে। কাশ্মীর ভারতে অবস্থিত তাই গন্তব্যটা একটু বেশিই দূরে। কাশ্মীরের মত একই রকম লোভনীয় প্রকৃতি রয়েছে বাংলাদেশেও। দেশ ভ্রমনেই কাশ্মীর ভ্রমনের স্বাদ পেতে পারেন নীলাদ্রি লেক ঘুড়ে।

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট নামক গ্রামে নীলাদ্রি লেকের অবস্থান। চুনাপথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইমস্টোন লেক এটি। পানি স্বচ্ছ নীল। নীলাদ্রির ওপাশে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়।

নিজ চোখে না দেখলে হয় বিশ্বাসই করতে পারবেননা পানির রঙ এতটা নীল আর প্রকৃতির এক মায়াবী রুপ। মাঝের টিলা গুলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ এর শেষ সিমানা। বড় উচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। এই লেকটি এক সময় চুনা পাথরের কারখানার কাচামাল চুনা পাথরের সাপ্লাই ভান্ডার ছিল যা এখন বিলীন।

নীলাদ্রিতে পানি তুলনামূলক কম। পানিতে পা রাখলেই বুঝে যাবেন এখনো শীতকালের রেশ রয়ে গেছে। পানি কিছুটা ঠাণ্ডা। মাঝে মাঝে পানির নিচে শেওলার সঙ্গে পা লেগে যেতে পারে। চার-পাঁচ পা সামনে এগুতেই ঠাঁই হারিয়ে ফেলবেন। কারণ হঠাৎ করেই নীলাদ্রি গভীর হয়ে উঠে।

যেভাবে যাবেন

নীলাদ্রি যেতে প্রথমে ঢাকা থেকে বাসে করে সুনামগঞ্জ নতুন ব্রিজে নামতে হবে। এ ব্রিজ থেকে মোটরসাইকেলে করে সরাসরি নীলাদ্রি লেকে যাওয়া যায়। নতুন ব্রিজ থেকে নীলাদ্রি লেকে মোটরসাইকেলে দু’জনের ভাড়া ৫০০ টাকা।

কোথায় খাবেন

বারিক্কা টিলাতে খাবারের হোটেল আছে, এছাড়াও বড়ছড়া বাজারে খেতে পারেন অথবা লেকের পাশেই টেকেরঘাট একটা ছোট বাজার আছে একটা মাত্র হোতেল আছে খাবারের। অবশ্যই আগে দাম জেনে খাবেন।

পরামর্শ

যেহেতু সীমান্ত এলাকা তাই সাবধানে থাকুন। সীমানার খুব কাছাকাছি না যাওয়াই ভালো। এখান থেকে খুব পরিমানে চুনা পাথর উঠানো হতো যার ফলে লেক অত্যাধিক গভীর। লেকের পানিতে সাতার না জানলে না নামাই ভালো। নামলেও বেশি দূরে যাবেন না।