সারাদিন রোজার রাখার পর ইফতারে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারের পরিবর্তে রাখতে পারেন তাজা আর স্বাস্থ্যকর খাবার। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল রাখা যেতে পারে ইফতারের তালিকায়। খেজুর, শসা, কমলা, মাল্টার পাশাপাশি যে ফলটি বেশি থাকে আমাদের ইফতারের থালায় সেটি হচ্ছে নাশপাতি। টক-মিষ্টি স্বাদের এই রসালো ফলটি অনেকেরই প্রিয়। আর তাই ইফতারে রাখুন নাশপাতি
এখন আমরা জানবো ইফতারে কেন রাখবেন নাশপাতি?
চীনে ফুসফুসের চিকিৎসায় নাশপাতি ব্যবহার করা হয়। নাশপাতির জুস গলা পিচ্ছিল করে, কফ এবং ভাইরাল সংক্রমণ কমায়। অনেকেই মনে করেন, গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে ফুসফুসে কফ জমে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। নাশপাতিতে এ্যান্টিঅক্সিজেন গ্লোটাথায়ন থাকার কারণে এটি গলাকে পিচ্ছিল করে এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ফলের ক্যালোরি মূলত প্রাকৃতিক চিনি থেকে আসে। এদিক থেকে পুরোপুরি নিরাপদ নাশপাতি। এটা সর্বনিম্ন ক্যালোরির ফল। রসাল একটি নাশপাতি থেকে গড়ে ১০০ ক্যালোরি মিলতে পারে এর বেশি নয়।
এছাড়া অন্যান্য ফলের মতো নাশপাতিও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর যা বিভিন্ন রোগের আক্রমণ রোধ করে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে।
উচ্চমাত্রার খনিজের তালিকায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম আর কপার। এসব উপাদান হাড়ের খনিজ হারানো রোধ করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।
যাদের দেহে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি রয়েছে তারা নাশপাতির শরণাপন্ন হতে পারেন। কপার ও আয়রনের জন্য এই ফল আপনার দেহের জন্য দারুণ উপকারী।
সুতরাং আর দেরি কেন? আজ থেকেই ইফতারে রাখুন এই উপকারী ফলটি।