Home লাইফস্টাইল বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কতটা জরুরি

বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কতটা জরুরি

বিয়ে মানে রোমাঞ্চকর সুখানুভূতি, দুটি মানুষের মধ্যে শুধু মিলনই নয়; বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে তাদের পরিবার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বিয়ের আগে কেনাকাটা থেকে শুরু করে অন্যান্য দিকে মনোযোগী হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেই এড়িয়ে চলেন। তা হলো পাত্রপাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। বিয়ের আগে মেডিকেল টেস্ট কতটা জরুরি তা আগের প্রজন্ম না বুঝলেও, আজকালকার আধুনিক ছেলেমেয়েরা কিন্তু এর গুরুত্ব ঠিক বুঝতে পারছে। ছেলে বা মেয়েকে হেয় করার জন্য নয়, বিয়ের আগে তাদের কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো অতি আবশ্যক বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ।

বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত জেনে নেওয়া যাক –

বয়স পরীক্ষা:
বয়সের আগে কিংবা দেরি করে বিয়ে উভয়েই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কম বয়সী মেয়েরা মা হলে ডিম্বাশয় ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। দেরি করে বিয়ে করলে অর্থাৎ ৩৫ বছরের পরে মা হলে সন্তান প্রসবে নানা জটিলতা হতে পারে। তাই পাত্রপাত্রীর বয়সের ব্যবধান যেন ৫-৬ বছরের বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

রক্ত পরীক্ষা
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে স্বাস্থ্যগত জটিলতা তৈরি হতে পারে। নেগেটিভ রক্তবহনকারী নারীর সঙ্গে পজিটিভ রক্তবহনকারী পুরুষের বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতা তৈরি হতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা
থ্যালাসেমিয়া জাতীয় হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি টেস্ট করে অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত, কেউ থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা। বাহক হলে অনাগত শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন তা হলে বংশানুক্রমে তা বাচ্চার মধ্যেও চলে আসতে পারে। তাই এই টেস্ট আবশ্যক।

যৌনসংক্রমণ আছে কি না
সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ় (STD)। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেক্সের ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে। বিয়ের আগেই অনেক রকম অভিজ্ঞতা হয় তাদের। শুধু তাই নয়, অধিকাংশেরই একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে লিপ্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। ফলে কার শরীরে কোনও সংক্রমণ আছে, কেউ তা যাচাই করে দেখে না।

এদিকে যথাযথ সময় বিয়েটাও করে নেয়। ফলত পাত্র/পাত্রী HIV, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো যৌনরোগে আক্রান্ত কি না বলা কঠিন। তাছাড়া, কেউ এই নিয়ে মুখ খোলে না। একমাত্র মেডিক্যাল টেস্ট করালেই গোপন সংক্রমণ ধরা পড়তে পারে।

বন্ধ্যত্ব
যৌন অক্ষমতা বা ধ্বজভঙ্গ, অ্যাজোসপারমিয়া এবং সন্তান ধারণে অক্ষমতার মতো সমস্যা থাকলে দম্পতির ভবিষ্যৎ পরিণতি ভালো হয় না। ৯৮ শতাংশ তরুণেরই কোনো শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায় না। মাত্র ২ শতাংশ তরুণের অ্যাজোসপারমিয়া বা সন্তান ধারণের অক্ষমতা ধরা পড়ে। বন্ধ্যত্ব হতে পারে পুরুষ-নারী উভয়ের। তেমনি বন্ধ্যত্ব হতে পারে পারিবারিক জীবনে চরম অশান্তির বড় কারণও। তাই আপাতদৃষ্টিতে এ-সংক্রান্ত পরীক্ষা নিষ্প্রয়োজন মনে হলেও চিকিৎসা দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।