Home লাইফস্টাইল কেন খাবেন মুলা

কেন খাবেন মুলা

আসছে শীত। আর শীতের অন্যতম সবজি মুলা। পুষ্টিগুণে ভরপুর মুলা। খাবার হিসেবে এর স্বাদও অনন্য। আজ আমরা জানবো মুলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কেন খাবেন মুলা-

মুলায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। মুলার মূল যেমন পুষ্টিসমৃদ্ধ তেমন এর পাতাতেও প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুলার চেয়ে এর পাতার গুণ অনেক বেশি। কচি মুলার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়।

মুলার পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি পাওয়া যায়। খাবার উপযোগী ১০০ গ্রাম মুলাপাতায় আছে আমিষ ১.৭ গ্রাম, শ্বেতসার ২.৫ গ্রাম, চর্বি ১.০০ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫৭ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৪৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ বা ক্যারোটিন ৯ হাজার ৭০০ মাইক্রোম ভিটামিন বি-১০.০০৪ মিলিগ্রাম, বি-২০.১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩.৬ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১২০ মিলিগ্রাম।

রক্ত পরিষ্কারক

মুলা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্ত দুষণ এবং বর্জ্য পরিস্কার করে থাকে। মুলা কিডনি রোগসহ মূত্রনালির অন্যান্য রোগে উপকারী।

মায়ের দুধ বৃদ্ধি

শিশুকে যে মায়েরা দুগ্ধপান করান তারা মুলা খেতে পারেন। নিয়মিত মুলা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শিশু পর্যাপ্ত দুধ পাবে।

হজমে উপকার ও ক্ষুধা বৃদ্ধি

কাঁচা মুলা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হজম হয় দ্রুত এবং রুচি বাড়ে। কচি মুলার সালাদ ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

কোষ্টকাঠিন্য দূর

মুলার হজমকারী ক্ষমতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাইলস রোগে আরাম হয়। পাইলসের কারণে রক্ত পড়া পর্যন্ত বন্ধ হয়।

রোগীর পথ্য

জ্বরে ও বিভিন্ন রোগে ভুগলে বা মুখের রুচি নষ্ট হয়ে গেলে মুলা কুচি করে কেটে চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। জ্বর কমবে, মুখের রুচিও বাড়বে। পেটে ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা হলে মুলার রসের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।

ত্বকের যত্নে

ত্বক পরিচর্যায়ও মুলা ব্যবহৃত হয়। এটি ভালো অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। কাঁচা মুলার পাতলা টুকরো ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ নিরাময় হয়। এছাড়া কাঁচা মুলা প্যাক এবং ক্লিনজার হিসেবেও দারুন উপকারী।