সুখের প্রকাশ বা দুঃখ আড়াল করার উপায়ই হোক সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য হাসির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন কারণে বা অকারণে কতবারই হাসি। কারো কথা শুনে, কোনো লেখা পড়ে অথবা কমেডি কোনো সিনেমা দেখে। কিন্তু হাসি তা যেভাবেই হোক, হাসিটা কিন্ত বেশ জরুরি। আসুন জেনে নেয়া যাক হাসির কিছু প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিছু কথা –
# হাসলে স্ট্রেস হরমোন এর নিঃসরণ কমে যায়। ফলে উচ্চ রক্ত চাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, পেটের পীড়া, ডায়াবেটিস প্রভৃতি মেটাবলিক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এং নিরাময় সহজ হয়।
# হাসি রোগ প্রতিরোধ হরমোন এন্ডরফিন ২৭% এবং এইচজিএইচ এন্টিএজিং হরমোন ৮৭% বৃদ্ধি করে। ফলে অকালে বুড়িয়া যাওয়া, হাড়ক্ষয়, রোগপ্রতিরোধ সহ দীর্ঘ জীবন সুস্থ থাকা যাবে।
# প্রতি পনের মিনিট হাসলে দুই ঘণ্টা ঘুমানোর উপকার হয়। ফলে কোষের রিকনস্ট্রাকশন, রোগপ্রতিরোধ ও নিরাময় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
# হাসিমাখা মুখ খারাপ চিন্তা, রাগ, দুঃখ, টেনশন থেকে দূরে রাখে। যার ফলে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সহজ হয়।
# হাসলে অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা বাড়ে। আত্মবিশ্বাস ও ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার ক্ষমতা হয়।
# এক গবেষণায় দেখা গেছে পনের সেকেন্ড হাসলে জীবনীশক্তি দুই দিন বৃদ্ধি পায়।
# অনুভূতি এবং সেনসেশন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বাড়ে।
হাসির মাধ্যমে চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সৃষ্টিশীলতা বৃদ্ধি পায়, শেখা এবং মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে।
# হাসি শরীরের রক্ত চলাচল পদ্ধতিতে যথাযথ রাখে এবং হার্টসহ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
