Home লাইফস্টাইল হলুদ দুধ খাওয়ার উপকারিতা

হলুদ দুধ খাওয়ার উপকারিতা

ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন হলুদ দুধের সঙ্গে মেশালে এর গুণাগুণ বেড়ে যায় আরও। প্রাচীনকাল থেকেই হলুদমিশ্রিত দুধ নানান ধরনের শারীরিক সমস্যার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা লাগা, শারীরিক ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে এক গ্লাস হলুদ-দুধ হতে পারে প্রাকৃতিক সমাধান। প্রাচীনকাল থেকেই কাশি-ঠাণ্ডায় এবং ক্ষত সাড়াতে হলুদ-দুধ ব্যবহার করা হয়। অনেক ওষুধের বিকল্প তাই হলুদকে সুপারফুডও বলা হয়। তবে জেনে নিন হলুদ দুধ খাওয়ার উপকারিতা

কফ এবং ঠান্ডা দূর করে

হলুদ-দুধ কফ এবং গলার প্রদাহ দূর করার জন্য একটি উপকারী ঘরোয়া দাওয়াই। হলুদের অ্যান্টিসেপটিক এবং এসট্রিজেন্ট উপাদান দুধের সঙ্গে মিলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং শুষ্ক কফ দূর করে।

মাথাব্যথা

হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান দুধের পুষ্টির সঙ্গে মিশে প্রাকৃতিক অ্যাসপেরিনের কাজ করে, যা মাথাব্যথা রোধে বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা রোধেও এই দুধ উপকারী।

বাতের ব্যথা দূর করে

বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে হলুদ-দুধ। এছাড়া মাংসপেশির নমনীয়তাও বাড়ায় এটি।

মেটাবোলিজম বাড়ায়:

হলুদের থারমোজেনিক প্রোপার্টি মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করে। আদারই কাছাকাছি জাতের এই মশলাটিতে সোগাওল এবং জিনগারোল আছে যা মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে।

রক্ত পরিশোধন করে

হলুদমিশ্রিত দুধের আয়ুর্বেদিক উপাদান প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে। রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে হলুদ-দুধ।

ওজন কমায়

গরম গরম হলুদ-দুধ ওজন কমাতে পারে। এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপাদান শরীরকে রাখে সুস্থ ও কর্মক্ষম।

হলুদ দুধ তৈরির নিয়ম:

কাঠ বাদামের দুধ- ১ কাপ (এর পরিবর্তে নারকেলের দুধ, সয়ামিল্ক, গরুর দুধ বা যেকোনো দুধ দিতে পারেন), রান্নার নারকেল তেল- ১ চা চামচ (এর পরিবর্তে কাঠ বাদামের বা তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন), তৈরি করা হলুদের পেস্ট- ১/৪ চা চামচ বা একটু বেশি, মধু- স্বাদ অনুযায়ী। মধু ছাড়া সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি পাত্রে নিয়ে মধ্যম আঁচে চুলায় দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে এবং ভালো ভাবে গরম হলে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা হতে দিন। কুসুম গরম অবস্থায় মধু মিশিয়ে পান করুন।