Home লাইফস্টাইল রোগ সারাতে মেহেদির টোটকা

রোগ সারাতে মেহেদির টোটকা

খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকরী মেহেদি। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করে ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।

সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিয়ে জ্বালিয়ে নিন। এবার এটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

বলিরেখা দূর করতেও তুলনা নেই মেহেদির। প্রথমে আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা মেহেদিপাতার রস। আর ফেসপ্যাক ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে বিলম্বিত হবে বলিরেখা।

বাত বা বাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন? বাত এবং বাতজনিত সব রকম ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর মেহেদি তেল। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। আর ভাল ফল পেতে  এক থেকে দুই মাস নিয়মিত ব্যবহার করুন।

ভিনেগারে মেহেদি পাতা ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি সারারাত পায়ে পরে থাকুন। কেননা এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে মেহেদি গাছের ফুল। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

ঘামচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে মেহেদির পেস্ট। আর তাই পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে এটি লাগাতে পারেন।

মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মাউতওয়াশ। প্রথমে মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

পুরোনো ক্ষত, যেগুলো বারবার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি। মেহেদিপাতা বেটে এ রকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন।

পানি পচা রোগ সাধারণত নোংরা, জীবাণুযক্ত পানি লেগে যে সমস্ত রোগ হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ পানিতে কাজ করলেও হতে পারে এ রোগ। এতে আঙুলের মাঝের অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত স্থানে মেহেদির প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ঘা ভালো হয়ে যায়।

শীতকালে পা ফাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে কারো কারো আবার বারো মাস ই পা ফাটার সমস্যা থাকে। এছাড়া চামড়া ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদিপাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা ভালো হবে।