লাল লোভনীয় টমেটোর উৎপত্তি মেক্সিকোতে। শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সারা বছরই ফ্রিজে শোভা পায় এই সবজিটি। খাওয়া ছাড়াও টমেটোর রয়েছে আরও সব অসাধারণ গুণাগুন । আমাদের প্রতিদিনের রূপচর্চায় টমেটোর ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হাতের কাছে থাকা এই সবজিটি দিয়েই আপনি সেরে ফেলতে পারেন রূপচর্চার কাজ। চলুন তবে জেনে নেই রূপচর্চায় টমেটোর ব্যবহার সম্পর্কে-
টমেটো কেটে মুখে ও ঘাড়ে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক সময়ে ত্বক আদ্র রাখতে এই পদ্ধতি খুবই কাজে দেয়।
যাদের মিশ্র ত্বক, তারা দাগ-ছোপহীন উজ্জ্বল ত্বক পেতে ক্লিনজার হিসেবে টমেটো ব্যবহার করতে পারেন। টমেটোর রস ৩ চা-চামচ, মধু ১ চা-চামচ, গ্লিসারিন ২ ফোটা ও লেবুর রস কয়েক ফোটা— মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ২-৩ মিনিট মালিশ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখের ত্বক কত পরিষ্কার দেখাচ্ছে।
সেনসিটিভ বা সংবেদনশীল ত্বকেও ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে মধু বাদ দিয়ে একই ভাবে পরিষ্কার করুন।
টমেটোর রস, শসার রস, সমপরিমানে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। দিনে যখনই মুখ পরিষ্কার করবেন তখন একবার পানি দিয়ে মুখ মুছে এই টোনার লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই টোনার ত্বক টান টান রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া টমেটো দিয়ে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে ফ্রিজে রেখে অনন্ত ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন।
যতটা টমেটোর রস ততটা অ্যালোভেরার রস এবং ততটুকু গুঁড়া দুধ আর বেশ খানিকটা গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে। রাতে শোওয়ার আগে যখন মুখ পরিষ্কার করবেন তখনই এই ময়েশ্চারাইজার মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
রোদে পোড়াভাব হাল্কা করতে সাহায্য করে টমেটো। ত্বকের যে জায়াগায় রোদে পোড়ার কারণে কালো হয়ে গেছে সেখানে প্রতিদিন একবার টমেটোর রস লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।