Home লাইফস্টাইল পারিবারিক সমস্যায় করণীয়

পারিবারিক সমস্যায় করণীয়

সমস্যা সে তো সব পরিবারেই থাকে। কোন পরিবারে সেটা বেশি কোনটাতা আবার কম। তবে সমস্যা যাই হোক না কেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমাধান থাকে আমাদের হাতেই। আবার কখনো কখনো আমাদের জন্যই সমস্যাগুলো বড় আকার ধারণ করে। আর যার ফলে সৃষ্টি হয় পারিবারিক কলহ, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আর দূরত্ব।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের ছোট ছোট সমস্যাগুলো ধ্বংস করে দেয় একটি পরিবারকে। আর তার প্রভাব পড়ে পরিবারের কোমলমতি শিশুদের ওপর। তাই পারিবারিক সমস্যা থেকে শিশুদেরকে দূরে রাখুন এবং তা সামলে নিন নিজেরাই।

পরিবারের সবারই কম-বেশি কাজ থাকে। আর তাই সবার সঙ্গে সবার ঠিকমতো দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। তাছাড়া সবার কথা সবাই সামনাসামনি শুনতেও চান না। এই সমস্যা সমাধান করতে পারিবারিক একদিন মিটিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন। সেটা হতে পারে সপ্তাহিক অথবা মাসিক। এটি প্রথমত আপনাকে সবার কথা জানতে সাহায্য করবে। এর দ্বিতীয়ত পারিবারিক কোনো সমস্যা হলে, সেটি সবার সামনে রেখে তার সমাধান আনতে পারবেন।

আপনি যখন কোনো বড় সমস্যায় পড়বেন, তখন ধৈর্যসহ তা মোকাবিলা করুন। তাড়াহুড়া করে আপনি যদি সমস্যার সমাধান করতে যান, সেক্ষেত্রে ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমান সমস্যা সমাধানের আগে পুরনো সমস্যাগুলোতে চোখ বুলান। দেখুন সেই সমস্যার সঙ্গে এখনকার সমস্যার কোনো সম্পর্ক আছে কি না? যদি থাকে তাহলে তা নির্ভরযোগ্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করুন। পারিবারিক সমস্যা সমাধানে আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন, এমন কাউকে সঙ্গে নিয়ে নিন।

সহজেই সত্য পর্যন্ত পৌঁছনোর একটা উপায় হল সরাসরি কথা বলা। কেননা পারিবারিক সমস্যাগুলো তৈরিই হয় ছোটখাটো মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে। সেক্ষেত্রে আগে সত্য পর্যন্ত পৌঁছে নিন। কথা বলার সময় বুঝে-শুনে কথা বলুন। আপনার কোনো ভুল কথা যেন পারিবারিক সমস্যাটিকে আরো বড় করে না তোলে।

পরিবারের সমস্যা সমাধানে বড়দের হস্তক্ষেপ সবচেয়ে ভালো। তবে এই বড়দের কথার মাঝে প্রায়শই ছোটদের আগমন ঘটে বা কখনো কখনো ছোটদের ডাকা হয় তাদের কথা শোনার জন্য। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বড়রাই একে অন্যের কথা শেষ না হতেই কথা বলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এটি সেই ব্যক্তির কথা বলার ধারা পাল্টে দিতে পারে। তাই অন্যের কথা বলার মাঝে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

পরিবার থাকলে সমস্যা তো সৃষ্টি হবেই। তবে খেয়াল রাখুন তা যেন বড় আকার ধারণ না করে। নিজেদের ছোটখাটো ভুলগুলো সামলে সামনে এগিয়ে যান। আর ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে কথা বলে তার সমাধানে নিয়ে আসুন। যাতে পরিবারে সবসময় দৃঢ়বন্ধন আর অটুট ভালোবাসা বজায় থাকে।