Home লাইফস্টাইল দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

আমাদের অনেক সময়ই পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। বিশেষ করে হজমজনিত বিশৃঙ্খলার কারণে এমনটা হয়। তখন ১ গ্লাস পানিতে একটু লবণ ও একটু চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। দেখবেন খাবার দ্রুত হজম হয়ে গিয়েছে।

তেজপাতা সাধারণত মশলা জাতীয় খাবার হলেও এর রস খুবই উপকারী। মাইগ্রেনের ব্যাথা নিরাময়ে এবং কোথাও আগুনে পুড়ে গেলে তেজপাতার রস ব্যাথা উপশমে কাজ করে। তেজপাতাতে আছে ভিটামিন সি, খনিজ উপাদান এবং প্রচুর পরিমাণে ফোলিক এসিড।

প্রতিদিন ২ কোয়া রসুন আপনাকে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করবে। তাছাড়া কৃমির সমস্যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, কোলেস্টেরল ও ফাঙ্গাস দূর করতে রসুন এক অপ্রতিরোধ্য উপাদান। অন্যদিকে ঠাণ্ডা কাশির নিরাময়েও রসুন ভূমিকা রাখে।

সবুজ শাকসবজি আপনার দেহের লাবণ্যতা ধরে রাখে। পালং শাক ও ফুলকপিতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ই যা আপনার মাথার স্কাল্প ভালো রাখে এবং চুলের গোঁড়া মজবুত করে।

আমাদের সকলেরই একটা ভুল ধারণা যে ভাত খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম ভাতে ফ্যাট আছে মাত্র ০.৪ গ্রাম। তাছাড়া ভাত Complex carbohydrate হওয়ায় এটা তাড়াতাড়ি হজম হয়। ভাতে আরও আছে Niacin, vitamin-D, calcium, fiber, thiamin ও Riboflavin। এতে কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম নেই। ভাতের বহু পুষ্টিগুণ যা রুটি বা অন্যকিছুতে নেই। তাই সমপরিমান রুটি থেকে ভাত খাওয়াই ভালো।

শরীর চাঙ্গা রাখতে চা খাওয়ার অভ্যাস সবারই আছে। কিন্তু এখন থেকে আর চা নয়, পান করবেন ব্ল্যাক কফি। দুধ, ক্রিম, চিনি এবং অন্যান্য ফ্লেভার ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেতে পারলে নগদ পেয়ে যাবেন ক্যালরিসমৃদ্ধ পানীয়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই দেখা যায় আদা পরিষ্কার করতে গেলে এর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ একটা টিপস হলো- দুই বা ততোধিক চা চামচের মাধ্যমে পরিষ্কার করলে আদার শুধু খোসা উঠে যাবে, নষ্ট হবে না। এই পদ্ধতিতে সাধারণত পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতেই শুধু আদা পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যস্ততার কারণে দেখে বাজার-সদাই করা অনেকাংশেই সম্ভবপর হয়ে উঠে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ডিম কেনার সময় ঘটে বিপত্তি। কোনটা ভালো ডিম আর কোনটা খারাপ ডিম তা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কেনার সময় ডিমগুলোকে একটি বোলে নিয়ে পানি ঢেলে ছেড়ে দিন। ভালো ডিমগুলো পানিতে ডুবে যাবে এবং খারাপ ডিমগুলো উপরে ভেসে থাকবে।

প্রতিদিন দাঁত মাজনের সময় এক পায়ে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করুন। এতে আপনার শরীরের ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিদিন বেশ কিছু সময় অলস বসে থাকা হয়। এ সময়টাতে মাত্র মিনিট বিশেকের জন্য মেডিটেশন করে নিন। এতে বহু কাজের চাপে আসা ক্লান্তভাব চলে যাবে।

নিজে রান্না করতে শিখুন। এতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারবেন এবং এর মতো একটি সৃষ্টিশীল কাজ উপভোগ করতে পারবেন।

সবসময়ই লক্ষের চেয়ে একটু সামনে এগিয়ে যান বা একটি ঘুর পথে লক্ষে পৌঁছান। এতে আপনার দৈহিক মনোবল ও সামর্থ্য বাড়বে।

ভবনে উঠতে গেলে লিফটের পরিবর্তে  সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এতে শক্তি ও উদ্যোম বাড়বে। পায়ের পেশী দৃঢ় হবে।

সবসময় পেটে ক্ষুধা নিয়ে খাবার কিনুন। এতে আপনি ভালো মানের খাবার কিনতে পারবেন। তা না হলে পেটে কিছু নিয়ে খাবার কিনলে সেটি এতো ভালো মানের হয় না। এটি প্রমাণিত।

সময় মেনে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করুন। বিশেষ করে ঘুম বা বিশ্রামের সময় ফোন বন্ধ রাখাটা আপনাকে নিশ্চিন্তে বিশ্রাম দিবে।

বই পড়ুন। জ্ঞান বাড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই। এতে দারুণ উপভোগ করতে পারবেন সময়টা এবং আপনার একটি ভালো বন্ধু।

যদি প্রতিদিন পাবলিক যানবাহনে চলাচল করে থাকেন, তবে যেখান থেকে বাসে উঠেন সেখান থেকে পরের স্টপেজ থেকে ওঠা শুরু করুন। আর প্রতিদিন যেখানে নামেন তার আগের স্টপেজে নেমে পড়ুন। উভয় ক্ষেত্রে আপনার হাঁটার পরিমাণ বাড়বে যা স্বাস্থ্যকর। তা ছাড়া বাসের ভাড়াও কমে যাবে।

সাদা রুটি বাদ দিয়ে গমের হালকা বাদামি রঙের রুটি খান। গমের ফাইবার হজমে মারাত্মক কাজ করে।

প্রতিদিন অসংখ্য কাজ আমাদের হাত দুটি দিয়ে করে থাকি। তাই বাসায় এসে প্রধান কর্তব্য হাত দুটি সাবান দিয়ে ভালো করে ধৌত করা। এতে হাত পরিষ্কার থাকবে এবং বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকবে।