Home লাইফস্টাইল ত্বকের যত্নে নিমপাতা

ত্বকের যত্নে নিমপাতা

নিমপাতার গুণের কথা তো কম বেশি আমরা সবাই জানি। ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই এর বিভিন্ন গুণ সম্পর্কে জানি। মা-চাচিদেরকেও দেখেছি নানা সময়ে, নানা অসুখ-বিসুখে রোগ জীবাণু তাড়াতে নিমপাতার ব্যবহার করতে। ফোঁড়া, চুলকানি, ফোসকাসহ ত্বকের নানা সমস্যায়ও নিমপাতার ব্যবহার করা হয়। এই নিমপাতাই হতে পারে আপনার দৈনন্দিন রূপচর্চার অংশ। আজ জানবো ত্বকের যত্নে নিমপাতা এর ব্যবহার সম্পর্কে-

নিমপাতা স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রতিরাতে তুলার নরম বল নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগান। এতে ব্রণ, ক্ষত চিহ্ন, মুখের কালো দাগ দূর হবে। একইভাবে চুলে ব্যবহার করলে খুশকি এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে।

১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলা খোসা ছাড়িয়ে অল্প পরিমাণ পানিতে সিদ্ধ করুন। উপকরণগুলো মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মেশান। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্রণ, কালো দাগ, চেহারায় ক্ষতের গর্ত দূর করবে। মধু এবং নিম উন্নতমানের ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

নিমপাতা সেদ্ধ পানি ও মধুর একটি পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। এটি একটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া খুশকি দূর করতেও কাজে লাগে।

নিমের তেল, সাবান, ট্যালকম পাউডার, শ্যাম্পু, লোশন, ক্রিম, টুথপেস্ট, পাতার ক্যাপসুল বেশ প্রচলিত পণ্য। নিমের এসব পণ্য ত্বককে মসৃণ করে ও ইনফেকশনের হাত থেকে দূরে রাখে।

নিমগাছের বাকল ও শিকড় ঔষধি গুণসম্পন্ন। চুলের উঁকুন ও খুশকি দূর করতে এসব ব্যাবহার করা যায়। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চামড়ার ইনফেকশন রোধে এছাড়া ব্রণ, চুলকানি ও এলার্জি রোধে নিমপাতা কার্যকর।

শরীরে ব্যথা, কেটে গেলে, পুড়ে গেলে, কান ব্যথা, মচকানো, মাথা ব্যথা, জ্বর কমাতে নিমপাতা ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।