Home লাইফস্টাইল জীবনঘাতী পানি!

জীবনঘাতী পানি!

পানির অপর নাম জীবন। এ প্রবাদটা জানে না এমন মানুষ এই যুগে খুঁজে পাওয়া ভার। একজন মানুষের জীবনে এর উপকার বলে শেষ করা যাবে না। কিন্ত এই জীবনরূপ এই পানিই যে আপনার জীবনঘাতী হতে পারে এটা কিভাবে মানা যায়? হ্যাঁ, এমনই চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বেশি বেশি পানি পান শরীরের জন্য ভালো হলেও তা যে সবার জন্য উপকারী তা কিন্ত নয়। বরং কিছু কিছু মানুষের কিডনিতে অতিরিক্ত চাপ ফেলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

সাধারণত কিডনি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। সব কিছুরই একটা অপটিমাম রেঞ্জ আছে। এর বেশি বা কম হলে সেটা কর্মহীন হয়ে পরে। কিডনির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পানি পানের ফলে কিডনিকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়। এতে কিডনির ওপর চাপ পড়ার মারাত্মক সম্ভাবনা রয়েছে। আর কিডনি কাজ করতে না পারলে শরীর ও হাত-পা পানি এবং অনিষ্কাশিত বর্জ্য দিয়ে ফোলে যাবে। ফলে ক্ষুধামন্দাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। তাই প্রতিদিন পরিমিত পরিমান পানি পান করতে হবে। এতে একদিকে আমাদের কিডনি সচল থাকবে। অন্যদিকে, বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।

এখন আমাদের কি পরিমান পানি পান করতে হবে? আসলে এটা মূলত নির্ভর করে চারপাশের পরিবেশ ও আবহাওয়ার উপর। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী একজন মানুষের স্বাভাবিকভাবে ২-৩ লিটার পানি পানই যথেষ্ট। কিন্ত ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির এক প্রতিবেদন দাবি করে যে স্বাভাবিকভাবে এর চেয়ে কম পানি পান করলেও তেমন কোনো অসুবিধার সম্ভাবনা নেই। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের জন্য দৈনিক ২ লিটার এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার জন্য দৈনিক ১.৬ লিটার পানি পান বাঞ্ছনীয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত যে অসংখ্য খাবার খাচ্ছি তা আমাদের পানির বাকি অভাবটুকু কার্যকরভাবেই মিটিয়ে দিচ্ছে। তাই আমাদের পানি পানের রেঞ্জ এততুকু হলেই যথেষ্ট। তাছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও ডায়রিয়া-আমাশয়ে বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় বেশি বেশি পানি পান করলে শরীরে রাসায়নিক ইফেক্ট কম পড়বে। অন্য দিকে ডায়রিয়া-আমাশয়ে শরীরে পানির পরিমান খুব কমে যায় তাই তখন বেশি বেশি পানি পান জরুরি।

সর্বোপরি, নিয়ম মেনে পানি পান করুন এবং সুখী সুন্দর জীবন গড়ুন। আর হ্যাঁ পানি অবশ্যই জীবাণুমুক্ত বিশুদ্ধ পানি হতে হবে।