Home লাইফস্টাইল ক্লান্তির চার কারণ

ক্লান্তির চার কারণ

আমরা প্রত্যেকেই দৈনন্দিন জীবনে কম বেশি ক্লান্তির সম্মুখীন হই। পরিশ্রম করলে ক্লান্তি জন্মাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় এমন হয় যে, কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে ক্লান্তি ভর করে। আর এটাকে মোটেই ভালোভাবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই অযথা ক্লান্তির কয়েকটা কারণ জানিয়েছেন তারা। তাদের কয়েকটি হলোঃ

<> বেশি বেশি ফাস্টফুড খাওয়াঃ

অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরকে নেশাতুর করে তুলে এবং শরীরে ক্লান্তি আনে। বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড চিনি ও বিপুল পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটের আঁধার। ফলে প্রথমদিকে লোভাতুর মনে হলেও পরে তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  দেহে বিন্দুমাত্র শক্তি থাকে না। জাংক ফুড ও বেভারেজে রয়েছে প্রচুর চিনি রয়েছে। এসব খাবার বেশি খেলে আলস্য তো আসবেই।

<> পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন’ বলেন, ২৬- ৬৪ বছর বয়সীদের কমপক্ষে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ১৮-২৫ বছর বয়সীদেরও এমনটা করা উচিত। ঘুমের সময় দেহ থেকে নিঃসৃত হয়  সেকরেটিন নামের এক ধরনের হরমোন, যা পেশিকে সুস্থ রাখে। এই হরমোন দেহের উপকারী কোলেস্টেরল ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখে। দেহে যথেষ্ট পরিমাণ সেকরেটিন না থাকলে ক্লান্তি ভর করে, শক্তি ও দম কমিয়ে দেয়। তাই শরীরের জন্য ঘুম খুবই দরকারি।

<> ডিহাইড্রেশনঃ

ক্লান্তি ভর করার আর একটি কারণ হলো যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান না করা। পানি পান না করলে শরীরে অবসাদ ভর করতে পারে। পানি না থাকলে শরীর প্রাণ চাঞ্চল্যহীন হয়ে যায়। সাধারণত শরীরে পানি না থাকলে মূত্রের রঙ বদলে যায়। এটা দেখেই শরীরে পানির অনুপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।

<> হরমোনের নিয়ন্ত্রণহীনতাঃ

দেহের অবস্থা বিভিন্ন হরমোন নির্ভরশীল। এর মধ্যে ধীরলয়ে কাজ করা থাইরয়েড ও অ্যাড্রেনাল হরমোন গ্রন্থি প্রাথমিক ধাক্কাটা দেবে। অ্যাড্রেনাল হরমোনের কার্যক্রম বুঝতে একটি পরীক্ষা করে ফেলুন। যদি ক্ষুধার সময় আপনি ক্ষুধায় অস্থির হয়ে পড়েন তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আপনার অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সারা দিন ক্লান্তি লেগেই থাকবে। তাই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞ কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।