Home ইসলাম ও জীবন কোরআনে উল্লেখিত সিয়ামবিষয়ক আয়াত

কোরআনে উল্লেখিত সিয়ামবিষয়ক আয়াত

লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও গুরুত্ব
লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও গুরুত্ব

কোরআন হল আল্লাহ্‌র নাযিলকৃত কিতাব যা তিনি তাঁর শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)- এর উপরে দীর্ঘ তেইশ বৎসর কালব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়, প্রয়োজন মোতাবেক অল্প অল্প করে অবতীর্ণ করেছিলেন। ভাষা এবং ভাব উভয় দিক হতেই কোরআন আল্লাহ্‌র কিতাব। মহাগ্রন্থ আল কোরআন মানব জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। ইসলামের সব বিধানের মৌলিক দিকগুলো এতে বিধৃত হয়েছে। তেমনি আছে  সিয়ামবিষয়ক কিছু আলোচনা। আজ আমরা জানবো সিয়ামবিষয়ক আয়াত সম্পর্কে-

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ জাল্লা শানহু বলেন, ‘আমি এ কিতাবে কিছুই বাদ দেইনি।’ (সূরা আনয়াম : ৩৮) তাই আমরা যদি পবিত্র কোরআনে রোজা সংক্রান্ত আয়াতগুলো পর্যবেক্ষণ করি তবে দেখতে পাব, রোজাসংশ্লিষ্ট অধিকাংশ বিধি-বিধান এবং আদব-কায়দা এতে বর্ণিত হয়েছে। এখানে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত রোজা ও এ বিষয়ে কিছু আয়াত উপস্থাপন করা হলঃ

#  ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা মুক্তাকি হতে পার।’ (সূরা বাকারা : ১৮৩)

#  ‘এ রোজা নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে অন্য সময়। আর এ রোজা যাদের জন্য অতিশয় কষ্টকর তাদের এর পরিবর্তে ফিদ্য়া দিতে হবে এবং একজন মিসকিনকে খানা খাওয়াতে হবে। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেক কাজ করে, তা হবে তার জন্য কল্যাণকর। আর রোজা পালন করা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৪)

# ‘আর যখন আমার বান্দা আমার সম্বন্ধে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে বলে দিন আমি তো কাছেই আছি। আমি মঞ্জুর করি আবেদনকারীর আবেদন যখন আমার কাছে আবেদন করে। তাদের উচিত আমার বিধান মেনে চলা আর আমার প্রতি ঈমান আনা। আশা যে, তারা সুপথ লাভ করতে পারবে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৬)