দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস শরীর ও মনে প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার আছে স্ট্রেস বাড়ায়, কিছু খাবার আবার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই স্ট্রেস কমাতে ডায়েট প্রসঙ্গে-
প্রোটিনজাতীয় খাবারে ট্রিপটোফেন নামের এক ধরনের অ্যামিনো এসিড থাকে, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। তবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে ট্রিপটোফেন এর পরিমাণ আরো বেশি। তাই কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ কলা, পনির, শুকনা খেজুর খেতে পারেন।
ওটস, প্রন, লবস্টারে আছে ভিটামিন বি-৬, যা শরীর থেকে সেরোটনিন নিঃসরণ করে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায়।
ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন বি-৯ এবং ম্যাগনেশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবারে টাইরোসাইন অ্যামিনো এসিড নিঃসরণ কমায়। এ ছাড়া আমন্ড, অ্যাভোকাডো, কলা, বাদাম, কুমড়ার বিচি, তিল নিয়মিত খেলে স্ট্রেস কমবে।
নিত্যদিনের খাবারে জিঙ্কের অভাব হলে স্ট্রেস বাড়ে। স্প্রাউটস, লাল চাল ও মুলায় জিঙ্ক আছে।
অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে ফ্রি-র্যাডিকালসের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য লেবু, পেয়ারা, কমলালেবু, সবুজ শাকসবজি, গাজর, তিল, নারিকেল, ফুলকপি, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, স্ট্রবেরি, আনারস, কাঁচা টমেটো, লাল আলু, লেটুস ইত্যাদি নিয়মিত খেতে পারলে ভালো। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-৫, যা স্ট্রেসের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করবে।
সয়াবিন, লাউ, ডাল, আমন্ড ও বেদানায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। বৃক্কীয় লালাগ্রন্থির (অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড) কার্যকলাপ সক্রিয় রাখতে ম্যাগনেশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ফলে স্ট্রেসের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
টিপসঃ
# অতিরিক্ত ক্লান্তির জন্য দুপুর বা রাতের খাবার কখনোই বাদ দেবেন না।
# স্ট্রেসের কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম থেকে অনেক সময় ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়লে ক্রাশ ডায়েট করা যাবে না। বরং নিয়মিত ব্যায়াম ও পরিমিত খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
# ফল, সবজি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটজাতীয় খাবার ঠিক পরিমাণে ডায়েটে না থাকলে স্ট্রেস আরো বেড়ে যেতে পারে।
# সকালের নাশতা অবশ্যই খাবেন। সকালের নাশতা না করলে সুগার লেবেল কমে যায়। সারা দিনে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না।
# কফি কম খেতে হবে। স্ট্রেস হবে না। কফির বদলে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খুব ভালো হয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ গ্রিন টি সারা দিন সতেজ থাকতে সাহায্য করে।
# দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পর কফি খাবেন না। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
# কোমল পানীয়ের বদলে তাজা ফলের জুস খান। কোমল পানীয় স্ট্রেস বাড়ায়।
# দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। ক্লান্তি কম লাগবে।
# ফাস্টফুড বাদ দিন। এসব খাবার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়।