পায়ের যত্নে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পেডিকিওর। আর এজন্য অনেককেই ছুটতে দেখা যায় পার্লারে। তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেই করতে পারেন পেডিকিওর। এখন তবে ঘরে বসে সহজেই করে নিন পেডিকিওর
যা যা লাগবে-
গামলাভর্তি গরম পানি, বাথ সল্ট বা শ্যাম্পু, ফুট স্ক্রাব, নেইল কাটার, নেইল ফাইল, পিউমিস স্টোন, ফুট ময়েশ্চারাইজার, একটি পরিষ্কার তোয়ালে, তুলোর বল।
যেভাবে করবেন-
নেইলপলিশ রিমুভার দিয়ে প্রথমেই নখের নেইলপলিশ কিংবা নেইল আর্ট তুলে ফেলুন। অতঃপর নেইল কাটার দিয়ে পছন্দ মতন শেইপে নখ কেটে নিন। খেয়াল করে কাটবেন, খুব বেশি গভীরে যেন না কেটে ফেলেন। এরপর, নেইল ফাইলার দিয়ে নিখুঁতভাবে নখ ফাইল করে নিন।
পেডিকিওরের এটিই সবচেয়ে আরামদায়ক পর্যায়। হালকা গরম পানিতে বেশ কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। খেয়াল করবেন যেন গোড়ালি পর্যন্ত ডোবানো যায়। আরামদায়ক অনুভব বাড়ানোর জন্য আপনি চাইলে পানিতে লবণ, লেবুর রস, গোলাপ পাপড়ি এবং শ্যাম্পু যোগ করতে পারেন। এতে করে পায়ের ত্বক নরম হবে এবং যেকোন ধরনের ব্যথা কমবে। এভাবে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর তোয়ালেতে পা মুছে নিন।
এবার রেডিমেড কিংবা ঘরোয়া কোন স্ক্রাব দিয়ে ভালো করে দুটি পা ম্যাসাজ করুন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফুট স্ক্রাব পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া স্ক্রাব ব্যবহার করলে উপকার পাবেন বেশি। তৈরির উপায় বলে দিচ্ছি- চিনি, মধু, লেবুর রস ও বাদাম তেল ভালোমতন মিশিয়ে দু’পায়েই লাগান এবং খুব ভালোমতন স্ক্রাব করুন। হাতের কাছে কিছুই না পেলে পিউমিস স্টোন দিয়ে সুন্দর করে ঘষে ফেলুন দু’পায়ের গোড়ালি। এতে করে পায়ের মরা কোষ খুব ভালোমতন উঠে যাবে এবং পা নরম ও কোমল হবে।
ভালোমানের একটি ময়েশ্চারাইজার এবার পায়ে পুরুভাবে লাগিয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে বাদাম তেল কিংবা জলপাই তেলও লাগাতে পারেন। পা নরম, কোমল ও নমনীয় হবে। এরপর চাইলে আপনি পছন্দসই রঙের নেইলপলিশে রাঙাতে পারেন নখগুলো।