আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের তালিকায় একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো সরিষার তেল। এটি যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও।
সরিষার তেল উদ্দীপক হিসাবে অন্ত্রে পাচক রস উত্পাদনে সাহায্য করে হজম প্রক্রিয়া দ্রুত করে থাকে। এছাড়া একই প্রক্রিয়ায় পাচক রস উৎপাদন করে ক্ষুধা বাড়াতেও সহায়তা করে।
বিভিন্ন ভোজ্য তেলের উপর করা তুলনামূলক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় এই সরিষার তেল। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় যা হৃদরোগের সম্ভবনাও হ্রাস করে থাকে।
এছাড়াও এই তেল ঠান্ডা এবং কাশি উপশমেও সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। যখন এটি বুকের সম্মুখে প্রয়োগ করা হয় বা তার দৃঢ় সুবাস নিঃশ্বাসের মাধমে নেয়া হয়, তখন তা শ্বাসযন্ত্রের নালীর থেকে কফ অপসারণে সাহায্য করে।
তামাটে এবং কালো দাগ দূর করে স্বাভাবিক ত্বক ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করে সরিষার তেল। এমনকি এটি সন্ধিস্থলের ব্যথাও হ্রাস করে থাকে।
ঠোঁটের শুস্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করা ছাড়াও সরিষার তেল সামান্য কাটা ছেঁড়ায় এন্টিসেপটিক এর কাজ করে।
ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং প্রদাহবিরোধী হিসাবে কাজ করে এই সরিষার তেল।
এছাড়া চুল পড়া প্রতিরোধ করে, খুসকি দূর করে এবং চুলের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করে এটি।