সতেজ মানেই সুন্দর। হোক তা ত্বক কিংবা চুল। ঘরের কোণে টবের গাছটির দিকে তাকিয়ে দেখুন, দুদিন পানি না পেলেই নিস্তেজ হয়ে যাবে সেটি। ঠিক তেমনই সবকিছুরই চাই একটু আলাদা যত্ন। সতেজ চুলের জন্যও তাই প্রয়োজন বাড়তি কিছু যত্ন। এর জন্য অবশ্য খুব বেশি সময় কিংবা খরচ কোনটারই প্রয়োজন পড়বে না। জানা থাকা চাই কিছু কৌশল। আসুন তবে জেনে নিই কৌশলগুলোঃ
গরম পানির বাটিতে একটু তেল নিয়ে তেলের পাত্রটা রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর তেল একটু গরম হলে চুলে লাগান। তবে তৈল লাগানোর আগে চুলটা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে আঁচড়িয়ে নিন। এরপর তুলা দিয়ে একটু একটু করে তেল নিয়ে চুলের গোড়ায় হালকা করে লাগিয়ে নিন। এভাবে চুলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত আস্তে আস্তে লাগিয়ে পুরো চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন।
পুরো চুলে ভালোভাবে তেলটা লাগানোর পর হালকা হাতে ক্লকওয়াইজ এন্টি ক্লকওয়াইজ ম্যাসাস করে কিছু সময়ের জন্য চুলটাকে বেঁধে নিন। তবে স্টিম নিতে পারলে ভালো হয়। তা সম্ভব না হলে টাওয়াল গরম পানিতে ডুবিয়ে ওই গরম ভাবটা চুলে নিলে স্টিমের কাজ করবে। এতে করে চুলের গোড়া পর্যন্ত তেলের পুষ্টি ঠিকভাবে পৌঁছবে। আর চুল পাবে ন্যাচারাল জৌলুস।
তেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে । যখনই তেল ম্যাসাস করবেন তার ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে নিন। বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে না চাইলে কয়েকটা রিঠা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন প্রায় ৩ ঘণ্টা। এরপর ভালো করে চটকে নিয়ে ফেনা বের হলে রিঠার খোসা বা বীচিগুলো ফেলে দিয়ে ওই পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। পরপর দুবার করার পর এ মিশ্রণ দিয়ে চুলটা ভালো করে ম্যাসাস করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে একটা গোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে ধুয়ে নিন। এতে করে চুল হয়ে উঠবে নরম ও মসৃণ ।
সপ্তাহে একটা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে ১ ঘণ্টা পরে এভাবে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে কন্ডিশনিং করে নিন। তাতে চুলের অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।
২ চা চামচ মেথি পাউডার, ২ চা চামচ হেনা পাউডার, ২ চা চামচ আমলকি পাউডার, ২ চা চামচ শিকাকাই পাউডার, একটা ডিম, একটু ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি হেয়ার প্যাক তৈরী করে পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে নিন। এভাবে পরিচর্যা করলে আপনার চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।