সজনে ডাটা একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি। গরমের সবজি হিসেবে অনেকের কাছেই প্রিয় এই সজনে ডাটা। ডাল সজনে তো সব পরিবারেই প্রচলিত খাবার। এছাড়াও বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় এটি। সজনে ডাটা দিয়ে রান্না করা মজাদার তরকারি শুধুমাত্র যে স্বাদেই ভরপুর তা নয় বরং এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। যার কারণে সজনেকে “খনিজ পদার্থের শক্তিঘর” বলা হয়। এই গরমে আমাদের রসনায় তৃপ্ত করলেও এর বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের অনেকেরই অজানা। আসুন জেনে নেয়া যাক সজনে ডাটার উপকারিতা –
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণেঃ
সজনে ডাঁটা খাওয়া উচ্চ রক্ত চাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। সজনে দেহের কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া উচ্চ রক্ত চাপের চিকিৎসায় সজনের পাতাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নিয়ম করে ৪-৬ চা চামচ সজনের পাতার রস খেলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
পেটের সমস্যা সমাধানেঃ
বহুকাল আগে থেকে সজনে হজমের সহায়ক খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পেটে গ্যাস হলে, বদহজম হলে বা পেটে ব্যথা হলে সজনের তৈরি তরকারীর ঝোল খেয়ে নিন। দেখবেন পেটের গোলমাল অনেক উপশম হয়ে গিয়েছে।
বাতের ব্যথা উপশমেঃ
বাতের ব্যথা উপশমে সজনে গাছের ছাল বেশ কার্যকর। এই পদ্ধতি বেশ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। সজনে গাছের ছাল তুলে তা বেটে রস চিপে নিয়ে এই রস নিয়মিত প্রতিদিন ৪-৬ চা চামচ খেলে বাতের ব্যথা প্রায় ৬৫% উপশম হয়।
দাঁতের মাড়ির সুরক্ষায়ঃ
অনেক সময় দাঁতের মাড়ির সমসসায় ভুগে থাকেন অনেকে। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যায় ইদানীং অনেককে পড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সজনে পাতা। সজনে পাতা ১/২ মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালও করে প্রতিদিন কুলকুচা করতে হবে। এতে মাড়ির সকল সমস্যার সমাধান হয়।
হেঁচকি ওঠা উপশমেঃ
হেঁচকি ওঠা যে কতো কষ্টের তা যারা ভুক্তভোগী তারা ঠিকই জানেন। একবার হেঁচকি উঠা শুরু করলে তা বন্ধ হতে চায় না সহজে। কিন্তু সজনে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে বেশ সহজে। সজনে পাতার রস ৯/১০ ফোঁটা আধ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে এক নিঃশ্বাসে পান করে ফেলুন। দেখবেন হেঁচকি ওঠা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে।
টিউমার বা আঘাত জনিত ফোলা উপশমেঃ
টিউমার যখন একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তখন সজনের পাতা এই টিউমার নিরাময় করতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় টিউমার ধরা পরলে তাতে সজনে পাতা বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করলে টিউমারের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্যথা বা আঘাত পেলে দেহের কোনো অংশ ফুলে উঠলে একই উপায়ে তা নিরাময় করা সম্ভব।