দেখতে দেখতে অক্টোবর শেষ। সকালের হাওয়ায় এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে শীত প্রায় দোরগোরায়। শীত শুরুর এই সময়টাতে কম বেশি প্রায় সকলেই আক্রান্ত হয় ঠান্ডায় । আর ঠান্ডা লাগলে এর অন্যতম লক্ষন দেখা যায় জর, কাশি, সর্দি। অনেক সময় জ্বর ভাল হয়ে গেলেও সহজে ভাল হতে চায় না কাশি। কাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে ঘরোয়া কিছু উপায়। ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করলেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব এই ধরনের খুসখুসে কাশি।আজ রইল শুকনো কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া কিছু উপায় ..
আদা চা
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা খেতে পারেন। আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার ভিতরের অস্বস্তিকর অনুভূতি দূর করে। এক কাপ জলে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এটি দিনে তিন থেকে চার বার খাবেন। এতে শুষ্ক কাশি অনেক কমে যায়।
মধু
শুষ্ক কাশি প্রতিকারে বেশ কার্যকরী ভূমিকা নেয় মধু। এক টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু প্রতিদিন ১ থেকে ৩ বার খেতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ মধু খান। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১ চা চামচ থেকে ১ টেবিল চামচ হতে পারে এর পরিমাণ। মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হলুদ
আধ কাপ জলে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গোল মরিচ দিন। এরপর এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ফোটান। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। এটি নিয়মিত খান কয়েকদিন। এছাড়া এক কাপ জলে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ মৌরি দিয়ে হারবাল চা-ও তৈরি করতে পারেন। তবে এটি দিনে তিনবারের বেশি খাবেন না।
পেঁয়াজ
খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজও বেশ কার্যকর। আধ চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি দিনে দু’বার খান। পেঁয়াজের ঝাঁজ গলার খুসখুসে কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
রসুন
কাশি সারাতে বেশ কার্যকরী রসুন । পাঁচটি রসুনের কোয়া কুচি করে এক চা চামচ ঘিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এটি খেয়ে ফেলুন। রসুনের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান কাশি উপশম করে।