শতকরা ৯৫ ভাগ পানিসমৃদ্ধ সবুজ রঙের সবজি শসা যার রয়েছে অসাধারণ গুণাগুণ। এর গুণ কথা সেই প্রাচীনকাল থেকেই সকলের জানা। শসার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। আর্থ্রাইটিস, একজিমা, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর শসার রস। এসব ছাড়াও শসার রয়েছে আরও বেশ কিছু গুণাগুণ। আসুন জেনে নিই শসার ব্যতিক্রমী কিছু ব্যবহার সম্পর্কে-
- শসায় রয়েছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, কালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস, পটাশিয়াম। সুতরাং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিনের ট্যাবলেট খাওয়ার চেয়ে বরং একটি শসা খান প্রতিদিন।
- খাবারের পরে মুখে থেকে যায়। এই গন্ধ দূর করার জন্য শসা ছোট করে কেটে জিহ্বার সাহায্যে মুখের ভেতর উপরের তালুতে চেপে ধরে রাখুন ৩০ সেকেন্ড। বাজে গন্ধ শুষে নেবে। সেই সাথে মেরে ফেলবে মুখের ব্যাকটেরিয়া।
- শসার প্রায় ৯৫ ভাগ পানি ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম তাই যারা স্বাস্থ্যসচেতন তারা ডায়েট করার সময় শসার ওপর নির্ভরশীল হোন। দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।
- মাথা ব্যথার ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া খুব বেশি ভালো নয়। এর চিন্তাও ছেড়ে দিন শসার ওপরে। ৩/৪ স্লাইস শসা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকাল হতেই নিজেকে পাবেন ঝরঝরে এবং ব্যথামুক্ত।
- বেশি কিংবা কম ঘুমানোর ফলে চোখের নিচের দিক ফুলে গেলে এই ফুলে যাওয়া ভাব দূর করবে শসা। দু টুকরো শসা চোখের ওপর দিয়ে রেখে দিন ২০-২৫ মিনিট। ব্যস সমস্যা সমাধান।
- কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে একটি শসা খেয়ে ফেলুন। শরীর একেবারে ঝরঝরে হয়ে উঠবে। সাথে সাথে ফিরে আসবে মনোযোগও।
- বাথরুমের আয়না কিংবা গ্লাসে পড়েছে সাবান পানির ছোপ ছোপ দাগ? কোন চিন্তা করবেন না। শসা পাতলা স্লাইস করে কেটে ঘষে দিন দাগের ওপর। নিমিষেই দূর হবে দাগ।
- জরুরি কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে কিন্তু জুতো পলিশ করার সময় নেই। শসা কেটে তা দিয়ে ঘষে নিন জুতোর ওপরটা। দেখবেন একেবারে ঝকঝক করছে।
- কলম দিয়ে লিখতে লিখতে ভুল হয়ে গেলে শসার খোসার বাইরের দিক ঘষে নিন কাগজে। সুন্দর রাবারের মত কাজ করবে। দেয়ালে বাচ্চাদের আঁকিবুঁকিও মুছে ফেলতে পারেন এই পদ্ধতিতে।