ক্ষতিকর বর্জ্য দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যকৃৎ বা কলিজা। আর তাই লিভার বা কলিজাকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খেলে কলিজা ভালো থাকে। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা কলিজাকে সুস্থ রাখতে পারে। এ রকম খাবারগুলো হলো:
গাজর: গাজরে আছে গ্লুটাথায়ন নামের উপাদান যা যকৃৎকে সুস্থ রাখে। গ্লুটাথায়ন প্রোটিন যকৃৎ থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে পারে। এতে ফ্লাভোনয়েডস ও বিটা-ক্যারোটিনও রয়েছে। গাজরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন লাইকোপিন ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নানা ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বিটা ক্যারোটিন চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। শীতের সময় অন্যান্য সবজির সঙ্গে গাজর পাওয়া যায় প্রচুর। গাজরের পুষ্টিমান ও উপকার পুরোপুরি পেতে কাঁচা বা আধা সেদ্ধ অবস্থায় খান।
পালং: সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি বিশেষ করে পালংশাক ও লেটুসপাতা কলিজা ভালো রাখতে দারুণ উপকারী। এতে থাকা ক্লোরোফিল রক্ত থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে বিষ দূর করে।
আঙুর: প্রতিদিন এক গ্লাস আঙুরের জুস খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করবে।
আখরোট: আখরোটে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাট থাকার কারণে আখরোট দেহের উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং অপকারী কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেলে যকৃতের পরিষ্কারের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে আখরোট।
অ্যাভোকাডো: এর মধ্যে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, সি, ই ও কে। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। অর্থাৎ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।বিট: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও বিটা-ক্যারোটিন নামের উপাদান যা কলিজার জন্য খুবই ভালো। কলিজা সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন এ খাবারটি।
বিট: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও বিটা-ক্যারোটিন নামের উপাদান যা কলিজার জন্য খুবই ভালো। কলিজা সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন এ খাবারটি।