আসছে গরমকাল। বাহিরের তাপমাত্রার সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে দেহের তাপমাত্রাও। তাই এই সময়টাতে সতর্ক না থাকলে দেহের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে গরমের দিনে দেহের পানি তাড়াতাড়ি বাস্পায়িত হয়। ফলে খুব সহজেই পানিশূন্যতার ঘটনা ঘটে। তাছাড়া এ সময় প্রচণ্ড গরমে শরীরে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে খাবারে রুচি হয় না। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই আজ আপনাদের জন্য এনেছি এমন এক জুসের টিপস যা একদিকে আপনাকে প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা করবে, অন্যদিকে আপনার শারীরিক দুর্বলতা কাঁটিয়ে আপনাকে সজীব থাকতে সাহায্য করবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১। ১ টি গাঁজর, ২। ১ টি পেয়ারা, ৩। ১ টি আপেল, ৪। ১/৪ চামচ আদা।
প্রস্তুতপ্রণালীঃ
প্রতিটি উপকরণ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর ছোট ছোট খণ্ড করে সেগুলোকে ফুড প্রসেসর, ব্লেন্ডার ও জুসারে দিয়ে জুস তৈরি করে নিন। তারপর ব্লেন্ডার থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ব্যস, জুস তৈরি হয়ে গেলো।
এই জুস প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে অচিরেই ফল পাবেন।
উপকারিতাঃ
এই জুসটি আমাদের প্রধান যে উপকারটি করে তা হচ্ছে- গাঁজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন রূপান্তরিত হয়ে আমাদের দেহে ভিটামিন ‘এ’ তে পরিনিত হয়। এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে স্বাভাবিক রাখতে জোর ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ সেল নামে পরিচিত ‘টি’ সেলকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সঞ্চালিত করতেও এই ভিটামিন ‘এ’ মুখ্য ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি মানবদেহে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতামূলক কাজ করেঃ
> দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ
আদা ও গাজরের মিলিত ভিটামিন চোখের অপটিক স্নায়ুকে শক্তিশালী করে। ফলে অপটিক কোষ ভালো থাকে।
> যৌনশক্তি বাড়ায়ঃ
এই জুসের সাথে প্রতিদিন মধু মিশিয়ে খেলে আপনার শারীরিক অক্ষমতা হ্রাস পেয়ে যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
> ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ
গাঁজর ও আদা উভয়েই আছে বিভিন্ন মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে কোষকে বিভিন্ন পয়জন থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক রাখে।
> বদহজম ও বমি রোধ করেঃ
এই জুস পাকস্থলির এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে বমি বমি ভাব ও বদহজম নিরাময় করে।
> পেশির প্রদাহ রোধঃ
আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি পেশির ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে কাজ করে এবং রুচি বাড়ায়।